বাঘায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতার

বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় স্কুল ছাত্রীর সাথে ছদ্দনামে মোবাইলে বন্ধুত্বের পর ওই ছাত্রীকে পার্কে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। এ ঘটার চারমাস পর ওই ছাত্রী অন্তঃসত্বা হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ শনিবার ভোর রাতে ধর্ষক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মাস পূর্বে বাঘা উপজেলার তেঁপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী(১৪)র সাথে উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের ঘর জামাই আলাউদ্দিন(৩৪) মোবাইল ছদ্দনাম (রায়হান)ব্যবহার করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরপর ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পার্শবতী প্রগতি পার্কে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী ৪ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। ঘটনার এক পর্যায় পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীর শরীরের গঠন দেখে বুঝতে পারে সে অন্তসত্তা হয়েছে। পরে তার কাছে বিস্তারিত জেনে আলাউদ্দিনকে মোবাইলে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়।

এদিকে বিয়ের প্রস্তাব শুনে আলাউদ্দিন তার বোমাইল নম্বরটি বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে ১৯ নভেম্বর স্কুল ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর পুলিশ গ্রামীন ফোনের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ধর্ষক আলাউদ্দিন গত সপ্তায় গ্রামীন ফোন অফিসে গিয়ে তার কন্টাক নম্বার বন্ধ করে এসছে। সেখান থেকে ঠিকানা সংগ্রহের এক পর্যায় পুলিশ তাকে শনিবার ভোর রাতে গ্রেফতার করে। আলাউদ্দিনের স্থায়ী ঠিকানা নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া গ্রামে বলে জানা গেছে।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় আলাউদ্দিনকে শনিবার ভোর রাতে গেফতার করার পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

স/অ