বাঘায় তীব্র শীতে বাড়ছে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ

আমানুল হক আমান:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামে বসবাস করেন রাশু মন্ডল (২৫) ও সাবিনাা বেগম (২২) দম্পতি। পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য স্বাধীন মন্ডলের বয়স মাত্র আড়াই বছর। সংসারে সম্পদ বলতে আছে কয়েকটি ছেঁড়া জামাকাপড়, হাঁড়িপাতিল আর পাতলা কাঁথা। মাথার ওপর ছোট একটি ছাপরা ঘরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারের।

রাশু মন্ডল ও সাবিনাা বেগম দম্পতি জানান, আড়াই বছরের শিশুটিকে নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। দিন মুজুরের কাজ করি, তা দিয়ে সবার জন্য শীতের পোশাক কেনা তো দূরের কথা, দুবেলা খাবার জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়ে। এবার শীত জাঁকিয়ে পড়ছে। যে কাপড় আছে, তা দিয়ে শীত মানানো যাচ্ছে না। গত বছর শীতের সময় একটি কম্বল পেয়েছিলেন। তবে সেগুলো এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

রাশু মন্ডল ও সাবিনা বেগমের পরিবারের মতো বসবাসরত মানুষদের এখন একটাই চিন্তা, শীত থেকে পরিবারকে বাঁচাবে কীভাবে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। এ রকম ভাসমান পরিবার বা লোকজনের সঠিক পরিসংখ্যান সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছে নেই। কোনো বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা তাঁদের নিয়ে কাজ করছে না। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা। বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছে আরও তার মতো অনেক পরিবার। জীবিকার তাগিদে এঁরা মাথা গোঁজার স্থান হিসেবে অনেকই বেছে নিচ্ছেন ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে দুস্থ গরীবদের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করছি। তবে বরাদ্দ অনুযায়ী আরো শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
স/শ