বাঘায় জমে উঠেছে পশু হাট


বাঘা প্রতিনিধি:

কোরবানির পশু কিনতে আড়ানী পৌরসভার হামিদকুড়া গ্রামের সাধারণ কৃষক সোহেল রানা রুস্তমপুর হাটে যান। বিপুল উৎসাহ নিয়ে পুরো হাট ঘুরে গরু-ছাগল দেখে অবশেষে ৬৭ হাজার টাকায় একটি গরু কিনে বাড়ি ফিরেন। সোহেলসহ ৫ জন মিলে গরুটি কিনেছেন। গরু দেখে বাড়ির শিশুদের চোখে মুখে ঝিলিক দিচ্ছে আসন্ন ঈদের খুশি।

তবে হাট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন তরারকি নেই। এছাড়া ব্যবসায়ীরা খাজনার কোন তালিকাও টানিয়ে দেয়নি। ইচ্ছে মতো খাজনা আদায় করা হচ্ছে।

পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর ও চন্ডিপুর পশুর হাট। ঈদের আর কয়েক দিন বাকি থাকায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। হাটে আসছে বিভিন্ন ধরনের পশু। বেচাকেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। বুধবার হাটে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

রুস্তমপুর হাট থেকে গরু কেনা সোহেল রানা জানান, বাড়িতে গরু রাখার জায়গা আছে। আর ছেলে-মেয়েরা কোরবানি কেনার জন্য আগ্রহ হয়ে উঠে। তাই কয়েক দিন আগেই ৫ জন মিলে গরু কিনলাম।

নাটোরের দয়ারামপুর থেকে থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে রুস্তমপুর হাটে আসেন আবদুল খালেক নামের এক ব্যবসায়ী। গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হেঁকেছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। গরুটি হাটের কাউন্টারের পাশে রাখা হয়েছিল। দেখার জন্য ভিড় করেছেন হাটের লোকজন।

আবদুল খালেক জানান, স্থানীয়রা পাঁচ থেকে সাত জনে মিলে গরু ক্রয় করছে। বাইরের ব্যাপারিরা বেশিরভাগ গরু ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা ঘুরে দাম জেনে চলে যাচ্ছে। আমার বড় গরুটি কেনার ক্রেতা কম।

হাটের ব্যবসায়ী একরামুল হক জানান, নিরাপত্তার জন্য হাটে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রয়েছে নজরদারি।
হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়কারীরা এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হাট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। হাট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো খাজনা আদায় করছে। তাদের দাবি প্রশাসনের তদারকির না থাকার কারনে হাট ব্যবসায়ীরা এমন কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।

এস/আই