বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মায় অবৈধ কারেন্ট জালের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ শিকার করে চলেছে মৎস্যজীবীরা। স্থানীয় প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে চকরাজাপুর, মীরগঞ্জ, মুশিদপুর, আশরাফপুর, পলাশিসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে কারেন্ট জালে মাছ শিকার। আর এই অবৈধ কারেন্ট জালে মাছ ধরার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চকরাজাপুর পদ্মার ঘাটে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মৎস্য শিকারী অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে। যেভাবে অবৈধ কারেন্ট জালের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ শিকার করে চলেছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই এলাকায় মিঠা পানির মাছের আকাল দেখা দিতে পারে বলে অভিজ্ঞরা আশংকা করছে। আগেও উপজেলার সদর ও পার্শবর্তী ঘাটেগুলোতেই এই সব কারেন্ট জালের ব্যবহার হতো। যা প্রশাসনিকভাবে তার প্রতিকারও করতো। কিন্তু এবার প্রশাসনের নাগালের বাইরে চরাঞ্চলে চলছে এই অবৈধ মাছ শিকার।
অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে ইলিশের পোনাসহ ঘাইড় ও বাছা মাছ ধরা হচ্ছে। চকরাজাপুর, মীরগঞ্জ, মুশিদপুর, আশরাফপুর, পলাশিসহ পদ্মার ঘাটে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে স্থানীয়রা।
মাছ শিকারীরা বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে এই কারেন্ট জালে। যা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি হিসেবে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
তারা আরো বলেন, সরকার এই কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করলেও নিরুপায় হয়ে এই পেশা বেছে নিয়েছি। এছাড়া চরাঞ্চলের মানুষের অন্য উপায়ে জীবিকা নির্বারহ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, পদ্মার চরাঞ্চলের কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য শিকার করা হচ্ছে। তবে ৮ ও ১০ আগষ্ট দুই দিনে সড়কঘাট থেকে শুরু করে মীরগঞ্জ, মুশিদপুর, আশরাফপুর, পলাশিসহ পদ্মার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি রাক্ষুসে জাল উদ্ধার করা হয়। এই সময় মৎসজীবীরা ৮০ কেজি রুই ও কাতলা মাছের পোনা শিকার করে। তাদের কাছে থেকে এগুলো উদ্ধার করে পদ্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬০ কেজি দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করে এলাকার গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তারপরও তারা গোপনে মাছ শিকার করছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আবারও অভিযান চালানো হবে।
স/অ