বাগেরহাটে গণধর্ষনের অভিযোগ, আটক ৬

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের রামপালে একটি মেয়ে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওড়াবুনিয়া গ্রামের জনৈক আব্দুল হামিদের মাছের ঘেরের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

 
আজ বুধবার সকালে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে  পুলিশ ওই মেয়েটির কথিক প্রেমিকসহ ৬ ধর্ষককে আটক করেছে।

 

 

উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দুপুরে মেয়েটিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে রামপাল থানার ওসি বেলায়েত হোসেন জানিয়েছেন।

 
আটককৃতরা হলেন – রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ওড়াবুনিয়া গ্রামের জিল্লু সরদারের ছেলে প্রেমিক মুক্ত সরদার (২৩) একই গ্রামের জাহিদ শেখের ছেলে হাসান শেখ (২৫), ইসরাফিল শেখের ছেলে শেখ বেলায়েত হোসেন (২৬), রামপাল সদরের ইব্রাহিম শেখের ছেলে ইসমাইল শেখ (২৫), শাহজাহান শেখের ছেলে রাজু শেখ (২৫) ও মাছের ঘের মালিক আব্দুল হামিদ (৫৮)।

 
রামপাল সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ডাবলু সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, রামপাল উপজেলার ওড়াবুনিয়া গ্রামের জিল্লু সরদারের ছেলে মুক্ত সরদারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পেড়িখালি গ্রামের একটি মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে ঈদের দিন মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে মুক্ত মেয়েটিকে মোবাইলে ফোন করে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে।

 

‘ফোন পেয়ে মেয়েটি বিকাল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে তার কাছে আসে। পরে মুক্ত তাকে নিয়ে ওড়াবুনিয়া গ্রামের ফাঁকা মাঠে আব্দুল হামিদের মাছের ঘেরে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে মুক্তসহ ছয়জন মিলে রাতভর পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।’

 

রাত দুইটার দিকে এই ছয়জনের মধ্যে ইসমাইলের বাবা ইব্রাহিম শেখ বিষয়টি জানতে পেরে আমাকে জানায়। সকালে ওই ছয়জনে ডেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আটক ৬ জনকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে।

 

এই ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে রামপাল থানায় আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

স/শ