বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় সরকারী অফিসে ৮ কর্ম দিবসে উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করেই চলছে অফিসিয়াল সকল কর্মকাণ্ড। প্রাথমিক শিক্ষা যেখানে প্রতিটি শিশুর শিক্ষার বুনিয়াদ।
অথচ সেই শিক্ষা অফিসে উত্তোলন করা হচ্ছে না জাতীয় পতাকা। গত ৮ সেপ্টেম্বর পালন করা হলো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে নেয়া হয়েছিল নানা কর্মসূচি। সেদিনও উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা।
৮ কর্ম দিবসের অনুসন্ধানে দেখা গেলো একদিনও চোখে পড়েনি জাতীয় পতাকা। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে গিয়েও দেখা গেলো একই চিত্র।
সাংবাদিকের কথায় টনক নড়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিকেল ৩ টা ৪৫ মিনিটে উত্তোলন করেন জাতীয় পতাকা। সেদিন থেকে রাখা ছিল শিক্ষা অফিসের উপর নজরদারী। সরকারী অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করে পার পেয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে কোন বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা না হলে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা। সরকারী অফিসে ৮ কর্ম দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করলেও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আর একটি উপজেলায় একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেই চলে। কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারে কার্যালয়ে নিজেদের উদ্যোগে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আসছিল।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, উপজেলায় একটি পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম থাকলেও আমরা সেটার পাশাপাশি আমাদের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকি।
কখনও উত্তোলন করা হয় আবার কখনও উত্তোলন করা হয় না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন অফিসের কাজে আমার প্রায় সময় ব্যস্ত থাকি। পতাকা উত্তোলনের জন্য লোক থাকলেও তারা কি জন্য পতাকা উত্তোলন করে নি সেটা তিনি জানেন না।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছরিন আক্তার বলেন, কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না সেটা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, উপজেলার মধ্যে শিক্ষা অফিস একটি আলাদা হওয়ার কারনে সেখানে একটা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু কি কারণে তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেনি সেটা তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স/আ