বাগমারায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫ ক্লিনিককে জরিমানা , ১টি সীলগালা

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মঙ্গলবার উপজেলার হেডকোয়ার্টার ভবানীগঞ্জের পাঁচটি অবৈধ ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম ভবানীগঞ্জ বাজার, চাঁনপাড়া ও গোডাউন মোড় এলাকার ৫টি  ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। প্রতিষ্ঠান গুলো হলো মা ক্লিনিক ৪০ হাজার টাকা, মোহনা ক্লিনিক ৩০ হাজার টাকা, ফারজানা ক্লিনিক ৩০ হাজার টাকা, স্বচ্ছ ক্লিনিক ৫০ হাজার টাকা ও শিখা ক্লিনিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত।

ক্লিনিকগুলোর মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে চাঁনপাড়ার স্বচ্ছ ক্লিনিকে কোন ডাক্তার, নার্স বা দায়িত্বশীল করো উপস্থিত না থাকা এবং সবচেয়ে বেশি অব্যবস্থাপনা পরিলক্ষিত হওয়ায় ক্লিনিকটি সীলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে এই ৫টি ক্লিনিক চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করে আসলেও তাদের কোন লাইসেন্স নেই। এসব ক্লিনিকে প্রায় ৩৮ প্রকার বিভিন্ন প্যাথলোজি পরীক্ষার বিষয়ে প্রচারনা চালানো ও সাইনবোর্ডে লিখা থাকলেও মাত্র ২/১ টি পরীক্ষার যন্ত্রপাতি থাকলেও বাঁকি গুলোর কোন যন্ত্রপাতি নেই। যন্ত্রপাতি ছাড়াই ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষার নামে গলাকাটা ফি আদায় করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে সাধারন কোন অসুখ নিয়ে কোন রোগি ক্লিনিকগুলোতে গেলে তাদেরকে ৫/৬ টি প্যাথলজি পরীক্ষার নামে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। ক্লিনিকগুলোতে সার্বক্ষনিক রেজিষ্ট্রাড চিকিৎসক থাকার বিধান থাকলেও ক্লিনিকগুলোতে তার কোন নামগন্ধ নেই। ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপরেশন করা হলেও সেখানে অজ্ঞান করার কোন ডাক্তার নেই। ক্লিনিগুলোতে বিভিন্ন সময়ে অদক্ষ ডাক্তার ও নার্স দিয়ে অপারেশন করার কারণে প্রায় রোগি ও প্রসুতি মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়া ক্লিনিকগুলোর পরিবেশ এতই নোংরা যা টয়লেটের পরিবেশকে হার মানায়। এ সব অভিযাগ ছাড়াই দু’একটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়মের বেড়াজালে আটকাপড়া এসব প্রতিষ্ঠান এলাকায় চিকিৎসার নামে নিরীহ জনগনের সাথে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাতের ব্যবসা গড়ে তোলায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল কবীর জানান, ইতিপেূর্বে ওইসব ক্লিনিকগুলোর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে আমরা ভিজিট করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য পাঠিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম জানান, ক্লিনিকগুলোর কেনটিরও লাইসেন্স নেই। তারা সাইনবোর্ড সর্বস্ব ক্লিনিক খুলে বসেছিল। এখানে ডাক্তার, নার্স, যন্ত্রপাতি কোন কিছুই ঠিকমত নেই। এসব কারণে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা মোতাবেক জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

স/শা