দুর্গাপুরে হাটের খাজনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কাউন্সিলরকে মারপিট

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া বাজারে খাজনা দায়ের ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর পৌসভার এক কাউন্সিলরকে গণপিটুনি দিয়েছে হাট কমিটির লোকজন। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার হাটকানপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা নিয়ে কানপাড়া বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যাক্ষদর্শিরা জানান, সোমবার উপজেলার কানপাড়া বাজারে হাট বসে। সকাল ১০টার দিকে দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি ওই হাটে লাউ বিক্রি করতে আসে। বিক্রির পর হাটের খাজনা আদায়কারী রাকিবুলের সাথে টাকা কম বেশি নিয়ে বিক্রেতা জাহাঙ্গীরে দ্বন্দ্ব হয় শুরু হলে এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় জাহাঙ্গীর। কানপাড়া বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পরে আহত জাহাঙ্গীর স্থানীয় ওয়াড কাউন্সিলর মাহাফুল ইসলাম লিটনকে মোবাইল কল দিয়ে খবর দেয়। কাউন্সিলর লিটন দলবল সাথে নিয়ে কানপাড়া বাজারে উপস্থিত হলে হাট কমিটির লোকজনের সাথে বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কমিটির লোকজন উত্তেজিত হয়ে কাউন্সিলর লিটনকে বেধড় মারপিট শুরু করে। পরে কাউন্সিলর ও তার সাথের লোকজনকে কানপাড়া বাজারের একটি দোকান ঘরে ভিতরে উঠায় জনরোষ থেকে রক্ষা পায়।

দুর্গাপুর পৌরসভার শালঘরিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাফুল ইসলাম লিটন জানান, ঘটনাটি তেমন বড় না। আমি আমার এলাকার একজনকে মারপিট করছে বলে খবর পেয়ে ওখানে গিয়েছিলাম। পরে আর কিছু না বলে কৌশলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান কাউন্সিলর লিটন।

কানপাড়া হাট কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, ঘটনার দিনে আমি বাজারে ছিলাম না। শুনেছি হাটের খাজনা আদায়কারী রাকিবুলের সাথে প্রথমে শালঘরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যাক্তির খাজনা দেওয়া নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার শালঘরিয়া গ্রামের ওয়াড কাউন্সিলর লিটন এসে কানপাড়া বাজারে সবাইকে মারধোর কর বলে হুমকি দিতে থাকে। পরে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলরসহ তার সাথে আগত কয়েক জনকে মারধোর করে।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোতালেব হোসেন জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। শুনেছি মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন পক্ষই এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/শা