বাগমারায় নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে সেতু ঘেঁষে ভবন নির্মাণ: সাংবাদিকদের হুমকি

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের টাঙানো লাল নিশানা সরিয়ে ফেলে সেতু ঘেঁষে আবারও ভবন নির্মাণ শুরু করা হয়েছে। দুমাস বন্ধ থাকার পর নিজের ইচ্ছে মতো বাসুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শ্রমিক দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এর আগে চেয়ারম্যান ফকিন্নী নদীর মধ্যে সেতু ঘেঁষে বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন লাল পতাকা টাঙিয়ে সেতুঘেঁষে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তার নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা দুই মাস আগে সেতুঘেঁষে ভবন নির্মাণ বন্ধ করে দেন। লাল পতাকার বাইরে আরও কখনো নির্মাণ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, গত ১০-১২ দিন থেকে  বাসুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন শ্রমিক দিয়ে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। ভবনের একতলার ছাদ ঢালাইয়ের জন্য ১২-১৪জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। পরে গত ১৯ এপ্রিল সকালে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়েছেন। দুই মাস আগে লাঠিতে করে টাঙানো ছয়টি লাল নিশানাও সরিয়ে ফেলেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

বুধবার সকালে মরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাল নিশানা সরিয়ে সেতুঘেঁষে ভবনের ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। এর আগের দিনও সেতুর রক্ষায় প্রশাসনের লাঠিতে করে টাঙানো লাল নিশানা দেখা গেছে। সেতু ঘেঁষে ভবন নির্মাণ করার কারণে সেতুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি তা সংস্কারের সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে এর আগে উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন জানিয়েছিলেন। তিনি সেতু ঘেঁষে ভবন নির্মাণ বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন।

তবে নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন শান্ত প্রশাসনের লাল নিশানা টাঙিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ও দুমাস পরে নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘নিজের জমিতেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।’ তবে পরবর্তীতে নির্মাণ কাজে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া বা আপত্তি জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন। পুনরায় ভবন নির্মাণের আগে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তার অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান। তবে ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।

কোন সাংবাদিক যদি এই ভবন নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে তবে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়েরের হুমকি প্রদান করেন চেয়ারম্যানের ছেলে শান্ত ।

বাগমারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, লাল নিশানা টাঙিয়ে দেয়া স্থানে পরবর্তীতে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানেন না। তবে কেন নির্মাণ কাজ করছে সেটা দেখার জন্য সার্ভেয়ার পাঠানো হচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/শ