বাগমারার সেরা কলেজই জাতীয়করণের তালিকায়

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারার সেরা কলেজটিকেই জাতীয়করণে জন্য মনোনীত করা হয়েছে। কলেজটিকে জাতীয়করণের পর এলাকার লোকজন উল্লাস প্রকাশ করেছেন। গত বছরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রাজশাহী অঞ্চলে চতুর্থ স্থান অর্জন করে কলেজটি। গত ২০মে এজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাও দেওয়া হয়।

  • শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৩০ জুন সরকারিকরণ হওয়া ১৯৯টি কলেজের তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাগমারার ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের নামও রয়েছে। এটিই উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ হতে চলেছে। উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জে কলেজটির অবস্থান। এই কলেজে ছয়টি বিষয়ে সম্মান পড়ানো হয়। উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে উপজেলায় ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাগমারায় কোনো সরকারি কলেজ নেই।

ভবানীগঞ্জ কলেজটি জাতীয়করণের তালিকায় নাম থাকায় এলাকার লোকজন উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেক মন্ডল সিল্কসিটি নিউজকে জানান, উপজেলা সদরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ এটি। এলাকার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে কলেজটিকে সরকারিকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কলেজটির নাম জাতীয়করণের তালিকায় থাকায় বাগমারাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কলেজটিকে জাতীয়করণে এলাকার গরীব শিক্ষার্থীরা কম খরচে শিক্ষার সুযোগ পাবে।

ভবানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ হাতেম আলী সিল্কসিটি নিউজকে জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সদরে অবস্থিত। পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, পরীক্ষার ফলাফলও ভালো। সে ক্ষেত্রে এই কলেজটিই জাতীয়করণের অধিকার রাখে।

  • কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে রাজশাহী অঞ্চলের বেসরকারি কলেজের মধ্যে প্রথম ও সমন্বিত কলেজসমুহের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এজন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ২০ মে জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয় সন্মাননাও দিয়েছে। কলেজটিকে জাতীয়করণের তালিকায় রেখে যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়েছে।

সরেজমিনে কলেজটিতে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে মাত্র কয়েকগজ দূরে অবস্থিত। প্রশাসনিকসহ চারটি ভবন দেখা যায়। আরও একটি ভবন নির্মাণাধীন। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে এই ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। তবে জাতীয়করণের চিঠি আসার পর থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। এছাড়াও ভবানীগঞ্জের চারটি স্থানে এই উদ্যোগকে স্বাগত ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। গত এক মাস ধরে তোরণগুলো শোভা পাচ্ছে।

  • কলেজের প্রবীন শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি এই কলেজের ছাত্র ছিলেন। পরে শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়ে চাকরির শেষ পর্যায়ে এসেছেন। কলেজটিকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নিয়ে সঠিক কাজটি প্রধানমন্ত্রী করেছেন।

উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহাবুর রহমান জানান, উপজেলা সদরের ও বড় কলেজ হিসাবে ভবানীগঞ্জকে কলেজকে জাতীয়করণ করা ঠিক হয়েছে। তবে দ্বিতীয় কোনো কলেজকে জাতীয়করণ করা হলে তাদেরটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।

  • প্রবীন কলেজ শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) মতিউর রহমান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, বাগমারার একটি কলেজকে জাতীয়করণ করা হলে ভবানীগঞ্জকেই করতে হতো, প্রধানমন্ত্রী সেটাই করেছেন। এই নিয়ে উপজেলায় কোনো দ্বিমত বা বিরোধীতা নেই।

উপজেলা শিক্ষাকর্মকর্তা মীর মস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার সেরা কলেজকেই জাতীয়করণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

স/আর