বাঁচে ১৪০ বছর, কী এই আশ্চর্য প্রাণী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এক ঝলক দেখে মনে হবে, মানুষের দীর্ঘ পুরুষাঙ্গ যেন। খুঁটিয়ে দেখলে ভুল ভাঙবে। বিচিত্র দেখতে এই প্রাণীর নামকরণের পিছনেও পুরুষাঙ্গের মতো দেখতে হওয়ার বিষয়টি কাজ করেছে বলে একাংশের ধারণা।

‘গুইডাক’। প্রাণীটির চলতি নাম। বিশেষ এক আমেরিকান উপজাতির ভাষায় ‘গুইডাক’ শব্দের অর্থের মধ্যেই নাকি রয়েছে লিঙ্গসদৃশ হওয়ার ইঙ্গিত।

আসলে এটি এক ধরনের সামুদ্রিক ঝিনুক। তার খোলস অংশটি সাধারণত ৬ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। কিন্তু মাংসল শরীরটি বেরিয়ে থাকে লম্বা হয়ে। এটিই লিঙ্গের বিভ্রম সৃষ্টি করে। মোটামুটি ভাবে সাড়ে ৩ ফুটের কাছাকাছি দীর্ঘ হয় এই অংশটি। তবে সাড়ে ৬ ফুট দীর্ঘ গুইডাকও মাঝে-সাঝে দেখতে পাওয়া যায়।

এই পুরুষাঙ্গ-সদৃশ ঝিনুক খাবার হিসেবেও বেশ সুস্বাদু। মুখ্যত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্নিহিত নোনা জলে এই ঝিনুক মিললেও, চিন বা কোরিয়ার মতো দেশে খাবার হিসেবে এর বিপুল চাহিদা। মজার কথা হল, এমন ধারণাও চালু রয়েছে যে এই ঝিনুক খেলে নাকি পৌরুষ বাড়ে বিপুল হারে। বোঝাই যায়, গুইডাকের দেহের গড়নের কারণেই এমন ধারণার প্রচলন হয়েছে।


চিনের বাজারে। ছবি: উইকিপিডিয়া

এই ঝিনুক বলবর্ধক হিসেবে বিস্ময়কর কি না, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এদের দীর্ঘ আয়ু বিস্ময়কর। গড়পড়তা একশো চল্লিশ থেকে দেড়শো বছর বাঁচে তারা। এই জীবনকালের মধ্যে পাঁচশো কোটি ডিম পাড়ে একটি স্ত্রী গুইডাক।

তবু গুইডাকের ভবিষ্যত কিন্তু বিপন্ন। চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের টানাপোড়েনে সম্প্রতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে সে। আগামী দিনে চিনকে আদৌ কতটা বাজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। সূত্র: এবেলা