বরসহ দুই ভাই, বাবা, দাদাকে হারিয়ে বিয়েবাড়িতে মাতম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের শশই ইসলামপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বর, তার ভাই, বাবা, দাদা রয়েছেন। এ ছাড়া নিহত বাকি পাঁচজনও তাঁদের স্বজন।

নিহতদের সবার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রূপসপুর গ্রামে। একসঙ্গে স্বজনদের হারিয়ে বিয়েবাড়িতে মাতম চলছে।

নিহতরা হলেন বর আবু সুফিয়ান, তাঁর ভাই আলী হোসেন, তাঁদের বাবা ছয়ফুর রহমান, দাদা মোক্তার, বরের স্বজন আবদুর রশীদ,  হান্নান, দরুদ মিয়া ও জাকির। এ ঘটনায় আহতম হয়েছেন বরের ভাই কামরান। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি স্বজনদের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মৌলভীবাজার থেকে ছেড়ে আসা বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস বিজয়নগরের শশই ইসলামপুর এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাত মাইক্রোযাত্রী নিহত হন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া পর আরেকজন মারা যান।

এ সময় এনা পরিবহনের বাসটির সাত যাত্রী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরপর হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় লোকজন।

সাতজনের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ের খাটিহাতা পুলিশ ফাঁড়িতে এবং অপর একজনের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, লাশগুলো নেওয়ার জন্য স্বজনরা মৌলভীবাজার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। নিহতদের গ্রামে বিয়েবাড়িতে চলছে মাতম।

এদিকে, ঢাকায় কনের বাড়িতে উৎসব যেন শোকে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এনা পরিবহনের বাসগুলো বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বাসের চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছেন।

কনের বাবা মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ ফোনে বলেন, ঢাকার নাখালপাড়ায় তাঁদের বাড়ি। সেখানেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।

সূূত্র: এনটিভি