বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও ৯ ঘণ্টা আকাশে উড়ল প্লেন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি প্লেন লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বেশ কয়েকটি ছোট ছিদ্র তৈরি হয়। তবে প্লেনের পাইলট বুঝতে পারেননি এর ক্ষতির মাত্রা। সে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্লেন  নিয়েই নয় ঘণ্টা উড়ে ভারতের চেন্নাইতে পৌঁছায়।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিএ-৩৫ নম্বরের নন স্টপ ফ্লাইটটি আকাশে ওড়ে ২২ জুলাই। আর ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কর্মীরা জানতেন উড়ন্ত বিমানে বজ্রপাত কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। যাত্রীবাহী বিশাল বিমানগুলোকে মেঘমালার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। মেঘের দু’টি অংশের মধ্যে বৈদ্যুতিক বিভব পার্থক্যের মাত্রা বেড়ে গেলে বজ্রপাত হয় আর এ সময় দু’টি মেঘের মাঝখানে কোন বিমান থাকলে সেটিতে বজ্র বিদ্যুৎ আঘাত হানতে পারে। অনেক সময় বিমানের কারণেও বজ্রপাত হয়। আর এ কারণেই তারা সেদিনের বজ্রপাতের বিষয়টিকে সেভাবে পাত্তা দেননি।

বিমানটি চেন্নাই বিমানবন্দরে নামার পর দেখা যায় এতে ৪২ থেকে ৪৬টি ছোট ছিদ্র রয়েছে। বজ্রপাতের কারণে তৈরি হয়েছে এসব ছিদ্র। এ কারণে বিমানটিকে সেখানে মেরামতের জন্য রেখে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে কিছুটা মেরামতের পর বিমানটিকে উড়িয়ে ফের লন্ডনের হিথরোতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে নিরাপত্তার খাতিরে এবারের ফ্লাইটে কোনো যাত্রী রাখা হয়নি।

হিথরো বিমানবন্দরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সেই বোয়িং ৭৮৭-৮০০ ড্রিমলাইনার বিমানটির পরীক্ষা শেষে আবার ওড়ানো হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি ফের আকাশে ওড়ার আগে অত্যন্ত দক্ষ ও প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীরা পরীক্ষা করেছেন।

১৯৬৩ সালে বজ্রপাতের কারণে প্যান আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭০৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৮১ জন মারা যায়। একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে বিমানটির জ্বালানি ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

বজ্রপাতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়া খুবই বিরল ঘটনা। প্রতিটি বিমানই আকাশে ওড়ার সময় বছরে গড়ে একাধিকবার বজ্রপাতের শিকার হয় কিন্তু বিমানের কিছুই হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাত্রীরা বুঝতেও পারেন না তাদের বিমানটি বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে।