বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চার লেনের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা

জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়কটির নির্মাণ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় কাজ বন্ধ থাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাই এর মূল কারণ বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে মহাসড়কের বেশিরভাগ আন্ডারপাসের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই স্থানগুলোতে প্রতি ঈদেই যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে তীব্র যানজটে ঘরমুখো মানুষদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে চারটি লেন নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি।

রোববার (৩০ আগস্ট) সকালে সরেজমিন মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজে ব্যস্ত রয়েছেন প্রায় শতাধিক শ্রমিক। ওয়াজেদ মিয়া নামে এক শ্রমিক জানান, লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। কয়েকদিন আগে আবার কাজ শুরু হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে তারা কাজটি শেষ করতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে তিনি জানাতে পারেননি।

এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়ে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। চার প্যাকেজে কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে প্যাকেজ-৪ নম্বর পড়েছে এলেঙ্গা-টাঙ্গাইলের ১০ কিলোমিটার। দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিসিএলের এ অংশের নির্মাণ কাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডিয়েনকো লিমিটেড। কাজের চুক্তি মূল্য ৩৫৬ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় প্যাকেজে টাঙ্গাইল থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন পর্যন্ত আরও ১৯ কিলোমিটার নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেড ও মালয়েশিয়ার এইচসিএম ইঞ্জিনিয়ারিং। তৃতীয় প্যাকেজে দুল্লামারী রোড থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত ২২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামহোয়ান ও বাংলাদেশের মীর আখতার।

চার লেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অমিত দেবনাথ  জানান, দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারণে মহাসড়কে নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। গত ১০ জুন থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮৪ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ মহাসড়কে ১৩টি আন্ডারপাস ও দু’টি ফ্লাইওভার রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফ্লাইওভার ও পাঁচটি আন্ডারপাসের কাজ চলছে। এছাড়া, মির্জাপুরের গোড়াই থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। -বাংলানিউজ