পুরুষ সেজে স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তরুণী, তারপর হত্যা করেন!

নাটোরে এক তরুণীর বিরুদ্ধে পুরুষের পোশাক পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রী সাদিয়াকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা নেয়নি নাটোর থানার পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুরে নাটোর ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা শহরের চৌধুরী বড়গাছা মহল্লার আব্দুল কুদ্দুস এই অভিযোগ করেন। পরে প্রেস ক্লাবের সামনে সাদিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নাটোর শহরের উপর বাজার এলাকার রুবেল হোসেনের মেয়ে রূপা খাতুন টিকটক ভিডিও বানিয়ে নিজেকে ‘রুপস ভাই’ বলে পরিচয় দিত। রূপা নামের মেয়েটির কাজই ছিল নিজেকে সুদর্শন পুরুষ দাবি করে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া। সে বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিত। এতেও রাজি না হলে মেয়েটি নিজের দুই হাত কেটে এবং বিষ খেয়ে প্রমাণ দিত সে ‘খাঁটি প্রেমিক’। প্রতি রাতে শহরের কালীবাড়ি দীঘির মাছ চুরি করে বিক্রি করে ইয়াবা কেনা এবং নিত্যনতুন প্রেমিকাদের পেছনে খরচ করত। নারী হলেও চলন আর পোশাকে সুদর্শন পুরুষ মনে করে সবাই ঠকত। আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, এভাবেই ফাঁদে ফেলে সাদিয়াকে রূপা হত্যা করে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রূপার বাবা রুবেল হোসেন বলেন, ‘সাদিয়া নিজেই গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছে এবং আমার মেয়ে রূপাকেও হত্যার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে আমরাও আইনের আশ্রয় নেব।’

নাটোর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে নাটোর থানায় কেউ আসেনি। ফলে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ