বঙ্গবন্ধু মানুষের মধ্যে লড়াইয়ের চেতনা জাগ্রত করেছিলেন: মেয়র লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মধ্যে লড়াইয়ের চেতনা জাগ্রত করে দিয়েছিলেন। তিনি লড়াইয়ের চেতনা জাগ্রত করে দিতে পেরেছিলেন বলেই মানুষ কোনোকিছু না ভেবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মানুষ ভাবেইনি কীভাবে তারা অস্ত্র ও ট্যাংকের বিরুদ্ধে লড়বেন। এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর অনেক বড় অর্জন।’

আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়, সিভিল সার্জন অফিস, রাজশাহী বিএমএ, স্বাচিপ, রামেক ও জেলা শিক্ষক সমিতি, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও নার্সিং কলেজ সম্মিলিতভাবে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনার সন্তান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন বাঙালি-বাঙালি করে গেছেন। দেশকে স্বাধীন করলেন, কিন্তু স্বাধীনতার পর আমরা তাকে রক্ষা করতে পারলাম না। বঙ্গবন্ধুকে বারবার সর্তক করা হলেও তিনি ধানমন্ডি-৩২ এ নিজ বাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানিরা যেখানে আমাকে মারতে পারেনি, সেখানে আমার বাঙালিরা আমাকে হত্যা করবে কীভাবে? বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে এতো বিশ্বাস ও ভালোবাসতেন। কিন্তু যারা হত্যা করলো, তারা ছিল নামেমাত্র বাঙালি, মনে ছিল পাকিস্তান।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যান করে গেছেন। ছোটবেলা থেকেই মানুষের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কর্মচারীদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার হতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। এমন আরো অনেক ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তিনি।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। নিরসলভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন। আমাদেরও সবাইকে দেশ গড়ার কাজে শামিল হতে হবে। আপনারা আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন, আমি রাজশাহীকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিএমএ রাজশাহী সভাপতি ডা. এবি সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিব, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নওশেদ আলী, বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। মূখ্য আলোচক ছিলেন ডা. অধ্যাপক মামুন হোসাইন।

স/অ