দেশে কোনো গণতন্ত্র না থাকায় এ সরকার ফ্যাসিস্ট হয়েছে: মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বাংলাদেশে কোন গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র না থাকার কারণে এই সরকার ফ্যাসিস্ট রুপ নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট, অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ও সরকার প্রধান পুলিশ বিভাগ ও প্রশাসনের মাধ্যমে যা ইচ্ছা তাই করছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একরে পর এক অন্যায় করে চলেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও আশু রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক রাজশাহী সিটি মেয়র মিনু বলেন, গত মাসে ৩০ তারিখের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার নির্লজ্জভাবে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তাদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছে। নির্বাচনের দিন সকল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সকল নির্বাচন বুথে মেয়রের ব্যালট পেপার শেষ করে ফেলেছে। এই কাজে শুধু পুলিশ নয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা জোর করে নৌকাতে ভোট দিয়েছে এবং সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে নৌকায় ভোট দিয়ে নিয়েছে। এভাবে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জোর করে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। কিন্তু এ বিজয় আওয়ামী লীগের হয়নি। তারা এখন জনগণ ও দেশবাসীর ঘৃণারপাত্রে পরিণত হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্ত্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহসিন আলি।

মিনু আরো বলেন, এই সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করেনা। তিনি দ্রুত এই সরকারের পতনের আন্দোলনের জন্য নেতা কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ায় আহবান জানান। তিনি বলেন অন্যায়ভাবে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বৃদ্ধ বয়সে নির্জন কারাগারে রেখেছে। তিনি এখন শারীরিকভাবে অত্যান্ত অসুস্থ। এ কারণে আদালতে পর্যন্ত তিনি আসতে পারছেন না। অথচ এই সরকার তাকে চিকিৎসা না করে কারাগারে তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে বুলবুল বলেন, বর্তমান সরকারের নির্যাতন আর অন্যায় অনাচারের মুখোশ উন্মোচন করতেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিল বিএনপি। সেই স্বৈরাচারী মুখোশ আজ উন্মোচিত। তারা হায়নার মত আচরণ করে বিএনপি’র বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। জোর করে দলীয় প্রার্থীকে তারা বিজয়ী করেছে। এই সরকারের অধিনে আর কোন নির্বাচন নয়। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবেনা। তিনি এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনে দ্রুত অপসারণের দাবী জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, শাহমখদুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বাবু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সাংগঠনিক স¤পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাংগঠনিক স¤পাদক আনন্দ কুমার, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ স¤পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়িক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, শামসুন নাহার, লাকি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামন জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ন সাধারণ স¤পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহমেদ সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

স/শা