বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকীতে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকীতে ‘‘জাতীয় শোক দিবস’’ উদযাপনের লক্ষ্যে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী ১৩ আগস্ট সকালে শিশু একাডেমীতে ‘‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’’ বিষয়ক শিশুদের চিত্রাংকন, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হবে। সকালে নিউ ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গন হতে শোক র‌্যালি অনুষ্ঠান শিল্পকলা একাডেমীতে প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হবে। সকালে শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এছাড়া সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে হিফজ প্রতিযোগিতা এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দরগা এস্টেট ও হেতেমখাঁ বড় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা, হামদ-নাত পরিবেশন, মিলাদ মাহফিল, তবারক বিতরণ ও বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

একই দিন সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবস উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি, বঙ্গবন্ধুর ‘‘ অসমাপ্ত আত্মজীবনী’’ ও ‘‘কারাগারের রোজনামচা” থেকে পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে পুরস্কার, যুব ঋণের চেক বিতরণ ও বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হবে।

এদিন সুবিধামত সময়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবসের সাথে সংগতি রেখে কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৫ আগস্ট মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিশু সদন, সেফহোম এবং শিশু বিকাশ কেন্দ্রসমূহে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর মোড় ও শহীদ কামারুজ্জামান চত্বরে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। রাজশাহী বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, তথ্য ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব-স্ব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবেন।
স/শ