বগুড়ায় শ্বশুর বাড়ির পাশের গাছ থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: বগুড়ার ধুনটে তাহরিমা খাতুন (১৭) নামে এক নববধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার সোনারগাঁও গ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে একটি গাছ থেকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো আবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে।

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা এ মৃত্যুকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। পুলিশ বলছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

জানা গেছে, সোনারগাঁও গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রায় ১০ মাস আগে একই গ্রামের সোলায়মান আলীর মেয়ে তাহরিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাহরিমা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। চাকরির কারণে সোলায়মান আলী পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।

শ্বশুর তোতা মিয়া গত ১৫ এপ্রিল তাহরিমাকে বগুড়া থেকে সোনারগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে আসেন। শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ির অদূরে ঈদগাহ মাঠে একটি গাছের সঙ্গে তাহরিমার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

শনিবার বেলা ১টার দিকে ধুনট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে ওই  গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।’

গৃহবধূর বাবা সোলায়মান আলী জানান,‘তাহরিমা শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোনে তাকে  বগুড়ার বাসায় নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিল। শনিবার সকালে তাকে আনতে যাবার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতেই মেয়ের আত্মহত্যার খবর পান।

ধুনটের চিকাশী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোতা মিয়া জানান, ‘তাহরিমার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার দূরে একটি কবরস্থানের পাশে ঈদগাহ্ মাঠ। সেখানে যে গাছটির ঝুলে সে আত্মহত্যা করেছে,ওই গাছটির লাগোয়া একটি দেয়াল রয়েছে। গলায় ফাঁস দিলেও সে মৃত্যুর আগে ওই দেয়াল ধরে বাঁচতে পারতো।’

তিনি আরও বলেন,‘তাহরিমার আত্মহত্যা নিয়ে অনেকের মনেই সন্দেহ হয়েছে।। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন