বগুড়ায় ভাজাপোড়া বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বগুড়া শহরে ভাজাপোড়া বিক্রেতার ছুরিকাঘাতে আহত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের (শজিমেক) এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র (২৫তম ব্যাচ) মেহেরাজ হোসেন ফাহিম মারা গেছেন। ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বুধবার সকালে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ফাহিমের মৃত্যুতে একটা প্রতিভার মৃত্যু হলো। তিনি এ হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, আগের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। গ্রেফতার দুই আসামি বাবা ও ছেলে বগুড়া জেল হাজতে রয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকার কাফরুলের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ গাজীর ছেলে ফাহিম বগুড়া শজিমেকের পঞ্চম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে ফাহিম নাশতার জন্য কলেজের হোস্টেল থেকে খান্দার নতুন সড়কের মোড়ে যান। সেখানে তিনি বগুড়া শহরের মালগ্রাম চাপড়পাড়ার মৃত মনসুর ব্যাপারীর ছেলে ফরিদ ব্যাপারী (৫১) এবং তার ছেলে শাকিল ব্যাপারীর (২৬) ভ্রাম্যমাণ ভাজাপোড়ার দোকানে চপ খান। চপের মধ্যে ময়লা থাকায় ফাহিম প্রতিবাদ করেন। তখন দোকানি ফরিদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধাক্কা দেন। এ সময় ফরিদের ছেলে শাকিল ব্যাপারী পেঁয়াজ কাটার ধারালো চাকু দিয়ে ফাহিমের বাঁ পাজরে আঘাত করেন। এতে ফাহিম রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঘটনার তৃতীয় দিনে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

এ ব্যাপারে ফাহিমের বাবা সদর থানায় ফরিদ ও শাকিলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই বগুড়া শহর ও সোনাতলার বালুয়াহাটে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। তাদের কাছে থেকে হামলায় ব্যবহৃত চাকুটি জব্দ করা হয়। পরদিন আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: বাংলাট্রিবিউন