বগুড়ায় নতুন করে ৪ পুলিশ সদস্যসহ ১১ জনের করোনা শনাক্ত

বগুড়ায় নতুন করে চার পুলিশ সদস্য এবং শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী পরিবারের সাত সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মে) রাতে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ নিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে বগুড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়ালো। এদের মধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে জেলার ১৭৬টিসহ মোট ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার ১১ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বাকি ১২টি সিরাজগঞ্জের নমুনা ছিল।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশের যেসব সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বাইরে যাওয়ার কোনো হিস্ট্রি নেই। তাদের মধ্যে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার। তার বয়স ৫৬ বছর। আর বাকি তিনজন কনস্টেবল। তাদের বয়স যথাক্রমে ৫৫, ৫৬ ও ২৭ বছর। গত ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেয়া হিসেব অনুযায়ী, বগুড়ায় এ পর্যন্ত দুই নারী কনস্টেবলসহ মোট ৯ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আহসান হাবিব নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত এক কনস্টেবল সুস্থ হয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে তার বাড়ি ফিরে গেছেন।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশ লাইন্সে ইতোপূর্বে করোনায় আক্রান্ত এক কনস্টেবলের সঙ্গে একই রুমে থাকার কারণে নতুন করে চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে পুলিশ লাইন্সে কোয়ারেন্টাইনে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে।

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী পরিবারের যে সাতজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই ঢাকাফেরত। ওই সাতজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং চারজন নারী। পুরুষদের বয়স হলো- ৩৯, ৩৫ ও ২৭। নারীদের বয়স যথাক্রমে- ৫৯, ৫৭, ১৮ ও ১৪ বছর। গত ৮ মে তারা ঢাকা থেকে বগুড়া ফেরেন। এরপর ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তিনি বলেন, আক্রান্ত ওই সাতজনকে তাদের বাড়িতেই লকডাউনে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।

জাগো নিউজ