বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু

বগুড়া শহরে সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে আহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক রোকনুজ্জামান রনির (৩৩) মৃত্যু হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোববার গভীর রাতে তিনি মারা যান।

বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক রোকনুজ্জামান রনি বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার শাহাদত হোসেন সাজুর ছেলে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত দাবি করেন, পুলিশের সোর্স, মাদক ব্যবসায়ী ও শিবির ক্যাডার আবদুস সোবহান এ হামলায় জড়িত। তাকে গ্রেফতার করা না হলে প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কর্মসূচি দেয়া হবে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সোবহান তার সোর্স নন; নারীঘটিত বিষয়ে মারপিটের ঘটনা মীমাংসা করা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছিল।

স্বজনরা জানান, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে আবদুস সোবহান তার সহযোগীদের নিয়ে রনির বাড়ির সামনে আসেন। ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে বের করে রনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। ভাগ্নে রিফাতউজ্জামান ছন্দ বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।

এর পর রক্তাক্ত মামা-ভাগ্নেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে মালগ্রাম দীঘিরপাড় এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

ছন্দের শরীরে ১০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। পর দিন রনির বড় বোন শারমিন আকতার রুমা সদর থানায় সোবহান, নোমান, রাকিবসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ রাকিবকে গ্রেফতার করে।

মৃত রনির বোন রুমা জানান, গত রোজার মধ্যে শহরের বাঁদুড়তলা থেকে ছেলের দুই বন্ধু তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পাড়ায় আড্ডা দেয়া নিয়ে মালগ্রামের নোমান ও রাকিবের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়।

সোবহান তার নিজের মতো করে বিচার করতে চান। এতে রনি সাড়া না দেয়ায় সোবহান ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে গত ১৮ জুলাই রনি ও ছন্দকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আগের মামলার সঙ্গে হত্যার ধারা যোগ হবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, কিছু দিন আগে ছন্দ অসামাজিক কাজের জন্য মালগ্রাম কবরস্থানে নারী নিয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা তখন ছন্দকে শাসন করেছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি মারপিটের ঘটনা ঘটেছিল। সোবহান মূলত মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন। রনি মূলত ছুরিকাঘাতের জন্য নয়; অন্য কোনো রোগের কারণে মারা গেছেন।

 

সুত্রঃ যুগান্তর