বগুড়ায় আরো ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত, মোট ৩৬০৮

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৬০৮। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় একজন মারা গেছেন। সরকারি হিসাবে এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৬৬।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ২৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি নমুনা করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিদিনের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মুখপাত্র ও ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে বগুড়ার ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২২ জনের নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। আর বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে মোট ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার ৮৮টি নমুনার মধ্যে ৩৫ জন পজিটিভ হন।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ জেলা শহরের ৩৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া শেরপুরে আটজন, শাজাহানপুরে তিন, শিবগঞ্জে তিন, কাহালুতে দুই এবং আদমদীঘি, সারিয়াকান্দি, দুপচাঁচিয়া ও সোনাতলা উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বগুড়া শহরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অন্য উপজেলার মধ্যে শাজাহানপুরে ১৯১ জন, গাবতলীতে ১৮৮, কাহালুতে ৮৬, শেরপুরে ১৭২, সারিয়াকান্দিতে ৮৩, সোনাতলায় ৭৫, শিবগঞ্জে ৯৩, আদমদীঘিতে ৩৮, দুপচাঁচিয়ায় ৭৭, নন্দীগ্রামে ৪১ ও ধুনটে ৭১ জন রয়েছেন।

জেলা শহরের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে নয়টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে চার সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। ২১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে। নয়টি এলাকা হলো চেলোপাড়া, নারুলী, নাটাইপাড়া, জলেশ্বরীতলা, মালতিনগর, সূত্রাপুর, ঠনঠনিয়া, ঠনঠনিয়া হাঁড়িপাড়া ও কলোনি।