ফ্যাশনের অংশ হিসেবে ভ্যাপিং এর দিকে ঝুঁকছে কিশোর-কিশোরীরা

সিগারেটের পরিবর্তে ভ্যাপিং( বৈদ্যুতিক সিগারেট) এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও  আরব অঞ্চলের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা। এমনটাই দাবি করেছ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, এর বিভিন্ন ফ্লেভারের কারণে তরুরণরা ভ্যাপিং এর প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ভ্যাপিং যার মাধ্যমে নেওয়া হয় সেখানে লিকুইড নিকোটিন থাকে, সেই সাথে বিভন্ন ফ্লেভার ও ক্যামিকেল থাকে। আর এসব উপাদান যেকোন বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১৯ সালে এবং সৌদি আরবে ২০২০ সালে ভ্যাপিং বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে শারজাহ হাসপাতালের একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আবদালকরিম নাসের  জানিয়েছেন, “ধূমপানের কোন নিরাপদ বিকল্প নেই। ভ্যাপিং এর কারণে দিন দিন ফুসফুসে সংক্রমণ বাড়ছে।’

ভ্যাপিং অর্থাৎ ই-সিগারেট একটি তরল গরম করে একটি অ্যারোসোল উৎপন্ন করে যার মধ্যে সাধারণত নিকোটিন, ফ্লেভার এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে যা ব্যবহারকারী এবং যারা ব্যবহার না করে সংস্পর্শে আসে তাদের জন্যও ক্ষতিকর।

অনেকেই নিকোটিন মুক্ত ভ্যাপিং এর দাবি করে কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় তাতে নিকোটিন রয়েছে। ভ্যাপিং নেওয়া যে শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর এই বিষয়ক অনেক তথ্য প্রমাণ আছে। এর ফলে হৃদরোগে আক্রন্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও ফুসফুসে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গর্ভবতী নারীদের জন্য ঝুঁকির মাত্রা কয়েকগুণ বাড়ায় ভ্যাপিং।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভ্যাপিং এর চারটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ওপর গবেষণা করেছেন। গত সপ্তাহে সেই সমীক্ষা প্রকাশ পেয়েছে সৌদি মালিকানাধীন সংবাদপত্র আল আরাবিয়া নিউজে। সেখানে বলা হয়েছে, ভ্যাপিং নিলে বাষ্পের সাথে শরীরে দুই হাজার রাসায়নিক দ্রব্য  প্রবেশ করে।   এর মধ্যে বেশিরভাগ রাসায়নিকই চিহ্নিত করা যায়নি। আর যে ছয়টা সম্পর্কে জানা গেছে তা শরীরে উদ্বেগ তৈরি করে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ