ফেসবুক লাইভে এসে রোহিঙ্গা শিবিরে চার মাঝিকে হত্যার বর্ণনা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে গত এক মাসে চার মাঝিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এসব হত্যার দায় স্বীকার করে গত মঙ্গলবার অস্ত্র হাতে এক যুবক ফেসবুক লাইভে এসে তার বর্ণনা দেন। এতে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোয় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মোহাম্মদ হাশিম নামের ওই যুবক নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ হাশিম একটি অস্ত্র হাতে ফেসবুক লাইভে আসেন। তারপর রোহিঙ্গা শিবিরে চার মাঝিকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বর্ণনা দেন। হাশিম কোথা থেকে ফেসবুক লাইভ করেছেন তা অবশ্য জানাননি। তবে যে ঘরে বসে তিনি লাইভ করেছেন, তা দেখে মনে হচ্ছে রোহিঙ্গা শিবিরেই তাঁর অবস্থান।

উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ফেসবুক লাইভটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। পুলিশ ওই যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ’

কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামছু দ্দৌজা নয়ন গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ফেসবুক লাইভের ভিডিও লিংকটি অনেকে আমাকে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে।’

ফেসবুক লাইভের ঘটনায় রোহিঙ্গা শিবিরে যে রোহিঙ্গা নেতারা (মাঝি) প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা নেতাদের কয়েকজন বিষয়টি নিয়ে কালের কণ্ঠকে অন্য তথ্য দিয়েছেন।

কারণ ইসলামী মাহাজ গ্রুপ আল-ইয়াকিন গ্রুপের বিরোধী গ্রুপ। সাম্প্রতিক সময়ে চার রোহিঙ্গা মাঝি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আল-ইয়াকিন গ্রুপের সদস্যদের জড়িত থাকার কথা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ফেসবুক লাইভে এসে ওই যুবক নিজেকে ইসলামী মাহাজ গ্রুপের সদস্য দাবি করে ঘটনাকে অন্য খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রোহিঙ্গা নেতাদের ধারণা, যে যুবক লাইভে এসে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, তিনি বালুখালী ১৮ নম্বর শিবিরে থাকেন। সম্ভবত তিনি মিয়ানমারের ভুচিদং এলাকার নাগরিক। তিনি মূলত আল-ইয়াকিনের সদস্য।

ফেসবুক লাইভে এসে ওই যুবক দাবি করেন, ১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪-এর এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে তিনি হত্যা করেছেন। এ সময় তিনি ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও উল্লেখ করেন। তাঁরা হলেন জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া ও মৌলভী রফিক।

 

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ