ফেসবুকে যুগল ছবিতে বাজে মন্তব্যের জন্য মামলা করলেন মেহরাবের স্ত্রী

সঙ্গীতশিল্পী মেহরাবের যুগ্ল ছবিতে বাজে মন্তব্য করায় মামলা করেছেন স্ত্রী রুশি চৌধুরী। রবিবার ফেসবুকে রুশি চৌধুরী বিষয়টি নিজেই জানিয়েছেন। রুশি বলেন, ‘আমার আর মেহরাবের ছবিতে বাজে কমেন্ট, তারপর আমার সাথে ফেইসবুক ইনবক্সে বেয়াদবি, “অমুক ভাই বলেছে দেখে কিছু বললাম না” ধরনের কথা, বেশ কিছু আজে বাজে গালি-গালাজ করা কমেন্ট, এইসব নোংরামো করা কয়েকজন যাদের সব ডিটেইলস সহ আমি একটা মামলা করেছি।’

বাজে মন্তব্য নিয়ে রুশি প্রথমে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে ওই মন্তব্যের স্ক্রিনশট ব্যবহার করলে মন্তব্যকারী এসে জানান তিনি রুশিকে চেনেন নি। রুশি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন। এর উত্তরে রুশি বলেন,  ‘তাকে নিয়ে লেখার পর এবং তাকে ব্যাপারটা নিয়ে আরও কয়েকজন বলার পর সে এসে আমাকে বলে “মাফ করে দেন, আপনাকে চিনি নাই আগে” এর মানে কি? রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে বা ক্ষমতা না থাকলে মেয়েদের যা তা বলা যাবে ফেসবুকে?’

তিনি বলেন, প্রথমতই, বাংলাদেশের নাগরিক হবার ভিত্তিতে কেউ এসে আমাদের মানহানি করবে, বা টিজ করবে, বা নোংরা শব্দ ব্যবহার করবে, এইসবের বিরুদ্ধে আমি সব সময় সোচ্চার। প্রথমে যে ছেলেটা আমাকে এসে বলছিল “সবাইকে সমান ভাববেন না, কাদের স্যার ও আমাকে ভালো করে চেনে।”

রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এই ধরনের হয়রানির বিরুদ্ধে রুশি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে যারা ফেসবুকে নোংরামো করে এবং পথে ঘাটে রাজনীতি বিক্রি করে তাদের ধিক্কার জানাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে জন্ম নেওয়া এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমে গড়া এই বাংলাদেশ এবং রাজনীতি এতো সহজ না যে এর নাম যে কেউ বিক্রি করে অন্যদের হেয় করবে এবং অন্যায় প্রশ্রয় দেবে। “ফেইসবুকে যা তা কমেন্ট করা এবং ইনবক্সে নোংরামো করার আগে ভেবে চিন্তা করে আগাবা, আইন এইসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ কঠোর।”

কণ্ঠশিল্পী মেহরাবের স্ত্রী রুশি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই পারিবারিকভাবে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন মেহরাব।

সূত্র: কালের কন্ঠ