সংখ্যার বিচারে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়েছে আমেরিকায়। সবচেয়ে ভয়ের কথা হল এখনও মৃত্যু মিছিলে লাগাম টানার রাস্তা খুঁজে পায়নি ট্রাম্প প্রশাসন। শেষ ২৪ ঘন্টায় ফের মৃত্যু হল ১৮৮৩ জনের।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা থেকে শুক্রবার রাত ৮ টা পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮৮৩ জনের। এরফলে মার্কিন মুলুকে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭২৯ জনের।
আশঙ্কার কথা হল প্রতিদিনই মার্কিন মুলুকে কখনও ১৫০০, কখনও ২০০০ বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটছে। আক্রান্ত প্রতিদিন অসংখ্য। আমেরিকা কোন অন্ধকারের দিকে ছুটছে তা ভেবে শিউরে উঠছে বিশ্বের বাকি দেশগুলি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ মানুষ শুধুমাত্র আমেরিকায় মারা গিয়েছে। ট্রাম্পের দেশে ১০ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৮ হাজারের কিছু বেশি।
দেশের মধ্যে নিউ ইয়র্কের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৩২১ জনের। এরপরেই রয়েছে নিউজার্সি। সেখানে আক্রান্ত ১লক্ষ ১৯ হাজার মানুষ। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৭ হাজারের অধিক। বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী এই শহর ভিত্তিক রিপোর্ট সামনে এসেছে।
ক্যালফোর্নিয়াতে আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যা এখনও ২০০০ ছুঁতে পারেনি। টেক্সাসে ততটা দাপট নেই করোনার। এখানে মৃতের সংখ্যা ৭৮২। মিচিগানে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি। সেখানে ৪১ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ৩,৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ট্রাম্প সরকার র্যাপিড টেস্ট করালেও কিছুতেও থামানো যাচ্ছে না করোনাকে। আমেরিকায় যে সব স্ট্রেট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেই সব স্ট্রেটে অপরিহার্য সমস্ত ব্যবসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ খুব প্রয়োজনীয় না-হলে মানুষকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে৷ তবে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন জনগন সেই নিষেধ খুব একটা তোয়াক্কা করছে না। যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
সুত্রঃ কলকাতা ২৪*৭
