ফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শান্তর ঘুম পাড়ানি ব্যাটিংয়ের রহস্য কী?

 

বিপিএলের ফাইনালে রান তাড়ায় নেমে একটা সময় জয়ের পথে ছিল ফরচুন বরিশাল। প্রেসবক্সে থাকা সাংবাদিকরা ম্যাচ রিপোর্ট প্রায় লিখেই ফেলেছেন। এমন সময় ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। পরাজয়ের মুখ থেকে ম্যাচে ফিরে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তারা ১ রানের দারুন জয় পায়। এই জয়ে কুমিল্লার বোলারদের যত না অবদান, তার চেয়ে বেশি দায় আছে বরিশালের ব্যাটারদের। তাদের অন্যতম নাজমুল হোসেন শান্ত।

বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৭ বলে ৭ রান করে আউট হওয়ার পর শান্ত উইকেটে আসেন। জয়ের জন্য তখন বরিশালের প্রয়োজন ৩৩ বলে ৩৫ রান। যা মোটেও অসম্ভব কিছু ছিল না। নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে বেশ ভালোই এগোচ্ছিল বরিশালে স্কোর। ওই সময়ে দাঁড়িয়ে ১৫ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত! যার অর্ধেক রান এসেছে আবার ছক্কা থেকে। শুধু তাই নয়, তার ডাকে সাড়া দিয়ে অপ্রয়োজনীয় রান নিতে গিয়ে রান-আউট হয়ে যান ১৩ বলে ১৪ রানে থাকা সোহান।

ব্যাট ওপরে ছুড়ে মেরে রাগে গজগজ করতে করতে তিনি মাঠ ছাড়েন। এই উইকেটকিপার-ব্যাটার আউট হওয়ার পরও জয়ের সুযোগ ছিল বরিশালের। ২১ বলে দরকার ছিল ১৯ রানের। শান্তর সুযোগ ছিল ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হয়ে যাওয়ার। কিন্তু হিরো হওয়া তো দূরের কথা, শান্ত ম্যাচটারই বারোটা বাজিয়ে দিলেন ধীর গতির ইনিংস খেলে। যদিও গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের শান্ত বলেছিলেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।

আসরের ১১ ম্যাচে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্তর সংগ্রহ মাত্র ১৮৮ রান। বল খেলেছেন রানের চেয়েও বেশি- ২০৫টি। গড় মাত্র ২০.৮৮ আর স্ট্রাইক রেট ৯১.৭০! ৪৫ হলো তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ওই ম্যাচে তিনি ৪০ বলে ৪৫ করেছিলেন। আর একটি ম্যাচে ত্রিশের ঘরে ছিল তার রান। পাশাপাশি চার ম্যাচে বোলিং করে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ