প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে কলেজছাত্রীকে জখম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে ভোলা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর পুরো শরীর জখম করা হয়েছে। হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে সারা শরীরে ব্লেড ও ধারালো চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

বুধবার গভীর রাতে দৌলতখান উপজেলার কলাকোপা গ্রামের জমাদার বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তুহিন নামের প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করেছে। অপর দিকে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।

ওই ছাত্রীর পরিবারের দাবি ঘরের সবাইকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে রাখায় তারা মেয়েটির ডাক-চিৎকার শুনতে পাননি।

গুরুতর আহত কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সঙ্গে একই বাড়ির তুহিন ও জিন্নাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জিন্না (৩০) তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করত।

আহত কলেজছাত্রী জানান, তিনি তার খালার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে গত দুই দিন আগে মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন।

বুধবার পরিবারের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে পানি খেতে পাশের রুমে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা জিন্না, তুহিন ও পাভেলসহ কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। তার চোখ-মুখ ও হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ব্লেড ও চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।

খবর পেয়ে ভোলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও প্রভাষক জামাল উদ্দিনসহ সহপাঠীরা গুরুতর আহত ছাত্রীটিকে দেখতে ভোলা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যুগান্তর