সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নারীর ক্ষমতায়নে এদেশের সরকার সর্বদা তার প্রতিশ্রুতিতে বদ্ধপরিকর ছিল। দক্ষিণ এশিয়াতে তাই বাংলাদেশ এখন একটি অজেয় সম্ভাবনার নাম। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান পদক্ষেপ ছিল দেশের নারীদের আরো বেশি কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা এবং অর্থনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিশ্চিত করা। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশের থেকে অনেক এগিয়ে। পূর্বের তুলনায় বিদেশে এখন পুরুষের পাশাপাশি নারী কর্মীরাও সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে নারী কর্মীদের উপস্থিতি ২৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীদের কর্মক্ষম করতে প্রায় ১০ কোটি টাকা এসএমই লোন সুবিধা দিচ্ছে। দেশে নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধি করতে নারীদের ১০% শিল্প এলাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও দেশের মেধাবী নারীকর্মীর লক্ষ্যে গরীব মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। আইটি খাতে নারীদের উপস্থিতি বৃদ্ধিতে আইটি পার্ক গুলোতে নারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বিগত বছরে গ্রাম পর্যায়ে নারীদের প্রয়োজনীয় কিছু শিক্ষা ও সহযোগিতা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এসকল পদক্ষেপ দেশে নারীর ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করেছে কয়েক গুণ। সর্বোপরি পৃথিবী শ্রেষ্ঠ ৩০ নারীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নাম অন্তর্ভূক্তি দেশের অগ্রগতির সূচনা মাত্র। অচিরেই বাংলাদেশের নারীরা উন্নয়নের হাত ধরে তার লক্ষ্য অর্জন করবে।