মঙ্গলবার , ২৪ অক্টোবর ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

প্রশ্নপত্র ফাঁস-জালিয়াতিতে ঢাবির দুই কর্মচারী শনাক্ত

Paris
অক্টোবর ২৪, ২০১৭ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: আধুনিক কমিউনিকেশনস ডিভাইসের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও উদ্ধারকৃত ডিভাইস বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা।

সিআইডি’র কর্মকর্তারা বলছেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এ চক্রের সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারীকে শনাক্ত করা গেছে। দু’জনের নাম ও পদবিও আমরা পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই জড়িতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস জালিয়াতি চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এদের মধ্যে চক্রের মূলহোতা ঢাবি’র অ্যাপ্লাইড ক্যামিস্ট্রি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ফিজিক্সের মাস্টার্সের (ছাত্রলীগ নেতা) ছাত্র মহিউদ্দিন রানা এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনকারী ইশরাক আহমেদ রাফীকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সিআইডি’র অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুহাম্মদ মিনহাজুল ইসলাম বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে প্রশ্নফাঁসের চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা পুরো সিন্ডিকেট ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত মূলহোতারা ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ চক্রের সদস্যরা আধুনিক একটি কমিউনিকেশনস ডিভাইস (মাস্টার কার্ড সদৃশ) ও অতিক্ষুদ্র এয়ারপিস ব্যবহার করে পরীক্ষার হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রশ্নের উত্তর বলে দিতো। শিক্ষার্থীরা মাস্টার কার্ড সদৃশ ওই ডিভাইস মানিব্যাগে রেখে কানে এয়ারপিস দিয়ে অপর প্রান্তে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পেয়ে সেট নম্বর বললেই ওপার থেকে উত্তর বলে দিতো গ্রেফতারকৃতরা।

সিআইডি’র তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চক্রটির সদস্যরা অভিনব এ পদ্ধতিতে।

সূত্র: বাংলানিউজ

সর্বশেষ - শিক্ষা