বৃহস্পতিবার , ১ জুন ২০১৭ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘প্রতিবন্ধী মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ করা ও জরায়ু ফেলে দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়’

Paris
জুন ১, ২০১৭ ১২:০০ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশে প্রতিবন্ধী নারীদের সঠিক সংখ্যা কত তার কোনও সরকারি বা বেসরকারি হিসেব নেই। তবে মোট প্রতিবন্ধীদের একটা বড় অংশই নারী এবং নানাভাবে তারা অবহেলার শিকার। সরকারের কর্মকর্তারাও বলছেন, শুধুমাত্র নারী প্রতিবন্ধীদের জন্য বিস্তর কর্মকাণ্ড নেই , যা আছে তা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। ফলে আলাদাভাবে নারী প্রতিবন্ধীদের ঋতুস্রাব বা মাসিকের সমস্যাটি নিয়ে কোনও কাজ হয়নি।

প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করে এমন একটি সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস বা বি-স্ক্যান বলছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী মেয়েদের ঋতুস্রাব বন্ধ করারও ব্যবস্থা করেন বাবা-মায়েরা । তারা যেন মা হতে না পারে তেমন পদক্ষেপও নেয়া হয়।

এ মনই একজন সালমা মাহবুব যাকে পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় নয়মাস বয়স থেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হচ্ছে।

সালমা মাহবুব বলছিলেন “প্রতিবন্ধী কিশোরীদের বেশিরভাগই চার দেয়ালের মধ্যে থাকে। সেরকম বন্ধুবান্ধব নেই তাদের। ঘরের বাইরে যাওয়া হয়না, পরিবারও মনে করে না তার লেখাপড়ার দরকার আছে। ফলে ওই মেয়ে ঋতুস্রাব সম্পর্কে জানতে পারে না”।

“আবার অনেক সমস্যার মুখেও পড়তে হয়, নানা কটু কথাও শুনতে হয়। অনেকে এটাও বলে এমনিতেই প্রতিবন্ধী তার মধ্যে আবার এসব হচ্ছে”- বলছিলেন সালমা।

প্রতি মাসে মেয়েদের এই ঋতুচক্র সামলানো মায়েদের জন্যও অনেক কঠিন বলে মন্তব্য করেন সালমা। তাঁর মতে, অনেক সময় মা-ও বুঝতে পারেন না কিভাবে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের যত্ন করবেন তিনি।

“স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের বিষয় থাকে ঋতুস্রাবের সময়। প্রতিবন্ধী নারীদের ধরন অনুযায়ী বিশেষ ধরনের ন্যাপকিনেরও প্রয়োজন আছে আমাদের মনে হয়”।

সালমা মাহবুব বলছিলেন “একজন প্রতিবন্ধী কিশোরী যে একেবারে নিজে কিছু করতে পারে না, সেই সন্তানের মা অনেক কষ্ট পান এবং তিনি মনে করেন যে তার মেয়ের যদি ঋতুচক্র বন্ধ করে দেয়া যায় সেক্ষেত্রে ওর ওপর কোন নির্যাতন হলে সন্তানসম্ভবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেনা। পাশাপাশি সমাজের চোখেও মেয়ে ছোট হবেনা। এই জায়গা থেকে এ কারণে অনেক সময় ঋতুস্রাব বন্ধ করা বা জরায়ু ফেলে দেয়ার চিন্তা করা হয়”।

“তবে অনেক সময় মনে করা হয় প্রতিবন্ধী নারীর এমন চক্রের কী দরকার ওতো মা হতে পারবে না। প্রতিবন্ধী নারীর যে বিয়ে হতে পারে সেও যে মা হতে পারে এটা কিন্তু অনেকে চিন্তা করতে পারে না। পরিবার থেকেই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয় যে তারতো কখনো বিয়ে হবে না”।

সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ - জাতীয়