পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

যৌতুক না পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ সদস্য স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্ত্রী। বুধবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পুলিশ সদস্যর স্ত্রী মোসা. ইসরাত জাহান রূপা মামলা করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৭ দিনের মধ্য তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার তুলসিবাড়ীয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান। তার বাবা হেলাল উদ্দিন ও মাতা শাহিনুর।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর স্বামী জিয়াউর রহমান পুলিশের কনস্টেবল পদে বরিশাল রেঞ্জে কর্মরত। তার চাকরির পদোন্নতির জন্য বাড়িতে এসে ২২ আগস্ট বাদীর নিকট ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাদী যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় উভয়ের তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায় জিয়াউর রহমান উত্তেজিত হয়ে তার বাবা মায়ের সহযোগিতায় রূপাকে বেধড়ক কিল ঘুসি ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

রূপা যুগান্তরকে বলেন, আমাকে ভালবেসে জিয়াউর রহমান বিয়ে করেছে। আমাকে ১০ লাখ টাকার কাবিন দিবে। এ মর্মে একটি এফিডেভিটও দিয়েছে জিয়া। পরে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কাবিন দেয়। আমি বরিশাল পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছি। আমার স্বামী জিয়াউর রহমান ৫ টাকা যৌতুক চেয়ে আমাকে মারধর করে। সেখানেও আমি কোনো সুবিচার পাইনি। আমি ৫ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে আমাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন জিয়া।

বরগুনা থানায় ২৩ আগস্ট মামলা করতে গেলে তারাও আমার মামলা নেয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশের কাছে পাব না বিধায় কোর্টে মামলা করেছি। জিয়াউর রহমানের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই মামলা নিতাম।

সূত্র : যুগান্তর