পুলিশ থাকতে মারলো ক্যান?

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনলোজীতে ৪ ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন পরিস্থিতির শিকার ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাদের অভিযোগ ছাত্রীদের মারধোরের সময় নিরব ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।

বরিশাল আইএইচটি’র দুই শিক্ষার্থীর সুস্থতার জন্য সাহায্য চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে ‘ফান্ড রাইজ’ করতে চেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মূলফটক আটকে দেয়। ছাত্রীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে শিক্ষার্থীদের পুণরায় ডেকে আলোচনার কথা বলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কিছু ছাত্রী সেখানে উপস্থিত না হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণধর্ষণের হুমকি দেয়। এছাড়াও নানা ভাবে বাজে ভাষায় কথা বলে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার ছাত্রীরা অধ্যক্ষের রুমে গিয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতা কর্মীদের বিচার দাবি করে।


অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলে ছাত্রীদের হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের হামলায় চার ছাত্রী আহত হয়। পরে ছাত্রীদের সাথে যোগ দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবস্থার অবনতি দেখে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রী আহত হওয়ার পর পুলিশী পদক্ষেপে ক্ষোভ জন্মে ছাত্রীদের মনে। পরে সাংবাদিকদের কাছে এসে ছাত্রীরা অভিযোগ করে। পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রীদের উপর কেন হামলা করা হলো।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহত এক ছাত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঝে মাঝেই আমাদের অশ্লীল ভাষায় কথা বলতো। তারা আমাদের বাবা মা তুলে কথা বলতো। তাদের কথা না শুনলে আমাদেরকে গণধর্ষণের কথা বলতো। আমরা এসব বিষয় নিয়ে এর প্রতিবাদ জানাই আমাদের অধ্যক্ষের কাছে। আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে চলে আসছিলাম। এরই মাঝে আইএইচটি ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদসহ নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা করে। সেখানে পুলিশ থাকার পরেও আমাদের উপর হামলা হয়। পুলিশ কেন নিরব ভূমিকা পালন করলো। পুলিশ থাকতে আমাদের মারলো ক্যান? শুধুমাত্ ছাত্রলীগরাই কি ছাত্রত্বের অধিকার রাখে? যদি তাই থাকে তাহলে আমরা কি করছি?

প্রসংঙ্গত, বুধবার সকালে রাজশাহী আইএইচটিতে ছাত্রীগের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে চার ছাত্রী আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আইএইচটি হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
স/শ