পুলিশের করোনা চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থায় পুলিশের করোনা চিকিৎসায় আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন  কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক ডিআইজি হাসানুল হায়দার।

শনিবার থেকে রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ইমপালস হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ১৬ তলা এই ভবনের হাসপাতালে ২৫০ শয্যা রয়েছে। ডাক্তার, নার্স ইমপালস হাসপাতাল ব্যবস্থা করবে। পুলিশের পক্ষ থেকে পিপিইসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।

করোনাভাইরাসে ইতোমধ্যে দেশের ১৩শ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগ বর্তমানে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হাসপাতালের পরিচালক হাসানুল হায়দার বলেন, ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা শুরু হলে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চাপ কমবে।

বৃহস্পতিবারের শেষ হিসেব মতে দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। এর ১০ শতাংশের বেশিই পুলিশ সদস্য। বৃহস্পতিবার নাগাদ ১৩শ’ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরীতেই ৬৬৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯৩ জন, মারা গেছেন ৬ পুলিশ সদস্য।

ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বাইরে রাজশাহীর বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালেও আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছিল।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ২৫০ শয্যার কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া জটিল হয়ে পড়ছিল। এ অবস্থায় হাসপাতালে জায়গা না হওয়ায় হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ সদস্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখতে হচ্ছে।

ইমপালস হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক খাদিজা আকতার ঝুমা বলেন, তারা দুই মাসের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ইমপালস হাসপাতালের নিয়মিত রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে শুধু কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলেও জানান অধ্যাপক খাদিজা। সূত্র: দেশ রুপান্তর