পুঠিয়ায় ফাতেমা ক্লিনিকে প্রসূতির মূত্রনালী কর্তনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ক্লিনিকে ‘সিজার’ করে সন্তান প্রসবের সময় এক নারীর মূত্রনালি কেটে ফেলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। গত ২২ সেপ্টেম্বর এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট বিধান কুমার ফৌজদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ডাঃ জিয়াউর রহমান, ডাঃ আরেফিন সাব্বির, ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান। গঠিত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট পুঠিয়া সদরের ফাতেমা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভর্তি হন প্রসূতি আসমা বেগম। সেখানে চিকিৎসক মেরিনা আকতার ও ক্লিনিক মালিক রুবেল মন্ডল প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলেন, বাচ্চা পজিশন ভালো না। জরুরি ভিত্তিতে ‘সিজার’ করতে হবে। ওই দিন সন্ধ্যায় সিজারের মাধ্যমে আসমা একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে। সিজারের পর থেকে রোগীর প্রস্রাব ঝরতে থাকে।

ঘটনার পর পুঠিয়া থানায় অভিযোগ করেন আসমা বেগমের স্বামী তাসের হোসেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা হলেন- ক্লিনিক মালিক রুবেল মন্ডল ও তার সহযোগী সাগর আহম্মেদ এবং রাজু।

তাসের হোসেন বলেন, অপারেশন করার পর থেকে আমার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হচ্ছিল। পরে ফাতেমা ক্লিনিকে গেলে তারা বলেন এই সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে। কিন্তু আমার স্ত্রীর অবস্থা দিনদিন আরও খারাপ হতে থাকে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, অপারেশনের সময় তার মূত্রনালি কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা আবদুল মতিন বলেন, ফাতেমা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো।

এস/আই