পুঠিয়ায় ছাত্রলীগের এক পক্ষের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি পালন, উধাও অপর পক্ষ

পুঠিয়ায় প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বর্ণাঠ্য আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বর্ণাঠ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপনে সভা আহবান করলেও অজ্ঞাত কারনে সভা করেনি উপজেলা ছাত্রলীগের অপর অংশ। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ছিলো কঠোর অবস্থানে।
 
জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একই স্থানে সভা আহবান করে উপজেলা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ। একই স্থানে একই সময় সভা ডাকায় দু’গ্রুপকেই উপজেলা পরিষদে সভা করতে বারন করে প্রশাসন এবং এক গ্রুপকে উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডে ও এক গ্রুপকে উপজেলা সদরে অবস্থিত আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে সভা করার অনুমতি দেয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষন্ড ক্ষন্ড মিছিল নিয়ে উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ডে মজায়েত হয়ে একটি বর্ণাঠ্য র্যালি বের করা হয়। র‌্যলিটি বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ ঘুরে আবার ফিরে এসে উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে এলে পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে মিছিলটি পূণরায় ফিরে বাসস্ট্যান্ডে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ছাত্রলীগের অপর পক্ষ সভা আহবান করলেও অজ্ঞাত কারনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুর রহমান মিঠু সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রার‌্য, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি রুস্তম আলী, পুঠিয়া পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল ফজল, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান মাসুদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সুমনুজ্জামান সুমন, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা।  অালোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব।
এব্যপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সায়েদুর রহমান জানান, ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকি উদযাপনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ একই স্থানে সভার আয়োজন করায় দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে করে উপজেলার কোথায়ও যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্যে উপজেলা সদরের কয়েকটি স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, শান্তিপূর্ণভাবেই ছাত্রলীগের একটি পক্ষ সভা সমাবেশ করেছে। তবে অপর পক্ষেরও সভা করার কথা থাকলেও তাদের দেখা যায়নি।
এব্যপারে জানতে ছাত্রলীগের অপর পক্ষের আহব্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহব্বায়ক শিমুল সরদার বলেন, ঘরোয়াভাবে উপজেলা পার্টি অফিসে সভা হয়েছে। সভায় কে কে উপস্থিত ছিলো জানতে চাইলে বলেন, আমি একটু পরে ফোন দিচ্ছি বলে ফোন রেখে দেন তিনি।
স/অ