পুঠিয়ায় ইউপি নির্বাচন: দুই প্রার্থীর ভোট পুনর্গণনার আবেদন

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর পুঠিয়ায় সদ্য সমাপ্ত পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া দুইটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অনিয়মের মাধ্যমে পরাজিত করার অভিযোগ তুলে দুইজন সাধারন সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পুনর্গণনার আবেদন জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাদের পরাজিত করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, আমাদের পক্ষে ভোট পুনর্গণনার করার বিধান নেই তবে তারা দু’জন আদালতে মামলা করলে আদালতে ভোট পুনর্গণনার হতে পারে।

আবেদনকারী মেম্বার প্রার্থীরা হলেন, উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের (ঘুড়ি মার্কা) মেম্বার প্রার্থী সাদেক আলী এবং একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের (ফুটবল মার্কা) মেম্বার প্রার্থী জয়নাল আবেদিন।

জয়নাল আবেদিন নির্বাচনের একদিন পর (২৭ জুলাই) এবং সাদেক আলী (২৯ জুলাই) সোমবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন এছাড়াও ইউএনও , জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকার পরিচালক, রাজশাহীর ডিসি এমনকি প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে এর অনুলিপি প্রেরন করেছেন।

৭নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জয়নাল আবেদিন জানান, গত ২৫ জুলাই ইউনিয়নের মীর কাসেম আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য এবং সাধারন সদস্য তিনটি পদের বিপরিতে প্রতিজন ভোটার তিনটি করে ব্যালট পেয়েছেন। তিনটি পদের বৈধ অবৈধ মোট ভোটের সংখ্যা একই হওয়ার কথা অথচ ভোট গণনা শেষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বৈধ অবৈধ মোটভোট দেখানো হয়েছে ২২২৭ সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২০৪৪ এবং সাধারন সদস্য পদে বৈধ অবৈধ মিলে মোটভোট দেখানো হয়েছে ২২৫৩। তাৎক্ষনিক তিনি দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সাড়া না পেয়ে নির্বাচনের একদিন পর অভিযোগ করেছেন। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন ভোটের সংখ্যায় গড়মিল থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এই সংখ্যা গড়মিল হওয়ার কথা নয় বলেও মন্তব্য করেন।

সাদেক আলী জানান, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হারোখালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন শেষে পরপর দুইবার ভোট গণনা করেও সাদেক আলী এগিয়ে থাকে। ফলে কেন্দ্রের ভেতরেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক আসলাম ও তাহের হৈ হুল্লুর শুরু করে এতে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স উপজেলা পরিষদে নিয়ে এসে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী আবদুস সালামকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ফলে দুইটি ওয়ার্ডে পূনরায় ভোট গণনা করে ভোটের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করার দাবী জানান। যদি এতে তাদের দু’জনকে আদালতে মামলা করতেও হয় তারা মামলা করতেও প্রস্তুত আছেন বলেও জানান।

ভোট পুনর্গণনার ব্যপারে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, দু’জন প্রার্থী ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন তবে আমাদের পক্ষে এটা করা সম্ভব না। ভোট পুনর্গণনা করতে হলে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে মামলা করতে হবে।  আদালত যদি মনে করেন ভোট পুনর্গণনা করা দরকার তবেই এটা সম্ভব।

স/অ