পুঠিয়ার ১৪ বছর ধরে স্থগিত ইউনিয়নে নির্বাচন ডিসেম্বরে

মইদুল ইসলাম মধু, পুঠিয়া

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১৪ বছর ধরে আইনি জটিলতায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ফলে দুটি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে একই চেয়ারম্যান ও একটিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করে আসছে। ২০০৩ সালের পর থেকে নির্বাচন স্থগিত থাকা সারা দেশের প্রায় অর্ধশত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল ঘোষনার ফাইল সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত থাকা তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটি ইউনিয়ন রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থগিত থাকা ইউপিগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন। জানা গেছে, ২০০৩ সালের নির্বাচনের পর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর, ভালুকগাছী ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে আইনি জটিলতার কারনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নকে পৌরসভা ঘোষনা করায় এর বিপক্ষে আদালতে মামলা দায়ের করেন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গাজী সুলতান। এরপর থেকে আইনি জটিলতার কারনে ইউনিয়নটিতে আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এছাড়াও উপজেলার ভালুকগাছী ও শিলামাড়িয়া ইউনিয়নের স্বীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘদিন ইউনিয়ন দুটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

এরমধ্যে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন সর্বশেষ ২০০৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল এবং ভালুকগাছী ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন করিম শেখ।

উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন জানান, নির্বাচন স্থগিত থাকা উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে শিলমাড়িয়া ও ভালুকগাছী ইউনিয়নের স্বীমানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা নিস্পত্তি হয়েছে। তবে বানেশ্বর ইউনিয়নে এখনও আইনি জটিলতা রয়েছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে ওঠা ইউনিয়নগুলোতে আগামী একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তিনি জানান, আগামী ২০১৮ সালের নভেম্বরের দিকে স্থগিত থাকা ইউনিয়নগুলোর তফসিল ঘোষনা হতে পারে এবং ডিসেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে এব্যপারে এখন পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে উপজেলা পর্যায়ে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

স/অ