পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার বিরূপ প্রভাব ফেলে

পিরিয়ডের সময় শরীর ও মনে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়।  যার মূল কারণ হলো হরমোনের ওঠানামা। খাবার হরমোনের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই এ সময় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া উচিত।

পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার বিরূপ প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

আসুন জেনে নিই সেসব খাবার সম্পর্কে-

১. পিরিয়ডের ব্যথায় দুধের তৈরি খাবার না খাওয়া ভালো। দুধে প্রাকৃতিকভাবেই আরাসিডোনিক অ্যাসিড থাকে, যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন্সকে (এক ধরনের হরমোন) উদ্দীপিত করে। ফলে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে।

২. পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে নিয়মিত ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। সয়াবিন, শাক, বাদাম ও চিয়া বীজ খেতে পারেন।

৩. এ সময় শরীর থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বের হয় আয়রন, যা শরীরে ক্লান্তি ও অবসাদ সৃষ্টি করে। ক্যাফেইন শরীরের রক্তনালিকে সংকুচিত করে এবং এখানে জরায়ুও অন্তর্গত। ফলে ব্যথা আরও তীব্র হয়। তাই এ সময়ে কফি, চা ও সোডার পাশাপাশি ক্যাফেইনের অন্যান্য খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪. পিরিয়ড শুরু হওয়ার দু-এক সপ্তাহ আগ থেকে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন ঘটে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা কমে। হরমোনের এ পরিবর্তন শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় পানিভাব বাড়ায় বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পুষ্টিবিদ অ্যালিসা রামসে।

তিনি আরও বলেন, নোনতা খাবারের মতো অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ আরও বেশি ফোলাভাব সৃষ্টি করে।

৫. পিরিয়ডের সময়ে দুর্বলতা দেখা দেয়। আর এ সময়ে আয়রন লাভের জন্য মাংস খাওয়ার উপকারিতার কথা শুনে থাকবেন। তার মানে এই নয় যে, দুধের খাবার, বার্গার, মিটবল বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন। কারণ এতে থাকে অ্যারাচিডোনিক অ্যাসিড। এটি শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি পিরিয়ডের সময়কার ব্যথা বাড়িয়ে দেয়।

৬.  প্রক্রিয়াজাত ও চিনিসমৃদ্ধ খাবার যেমন- কেক, বিস্কুট, চকোলেট বার, সোডা (নানান স্বাদযুক্ত দই, সস) ইত্যাদি খাবার ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর