পা টিপে নিয়ে কাউন্সিলর মাহাতাবের এ কেমন আয়েশ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শনিবার বিকেল ৫টা। রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি এলাকায় অবস্থিত একটি মোটর গ্যারেজের ভিতরে দুটি চেয়ার নিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। একটিতে ওই ব্যক্তির কোমর থেকে শরীরের ওপরের অংশ আর অন্য চেয়ারে রাখা আছে পায়ের শেষের অংশ।

বলা যায় পায়ের হাঁটুর নিচের কিছু অংশ। দুটি চেয়ারে এভাবে বসে থেকে এক হাতে সিগারেট টানছেন ওই ব্যক্তি। তিনি হলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাব উদ্দিন।

তাকে ঘিরে রেখেছেন তিন-চারজন যুবক। এদের একজন কাউন্সিলর মাহাতাব উদ্দিনের মাথার প্রথমে চুল টেনে দিলেন। এরপরর গোটা মাথা ম্যাসেজ করে দিলেন। তারপর মুখ, ঘাড় ম্যাসেজ করে দিলেন।

04

এগুলো ম্যাসেজ করার পরে মাহাতাব ওই যুবককে বললেন তার পা টিপে দিতে। কথামতো যুবকটি মাহাতাবের পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে পা টিপতে শুরু করলেন। এরপর পায়ের আঙ্গুলগুলো টেনে ম্যাসেজ করে দিলেন।

প্রায় ২০ মিনিট ধরে পা টিপে দেওয়ার পরে ওই যুবক কাউন্সিলর মাহাতাবের হাটুর নিচে টিপে দিতে শুরু করলেন। আর নেতা মাহাতাব কখনো নিজের মোবাইলে কথা বলছিলেন আবার কখনো পানি খাচ্ছিলেন। কখনো কখনো পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে সিগারেট পান করছিলেন।

03

এভাবে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে মাহাতাব তার কাছের যুবকের নিকট থেকে সেবা নিয়ে কালো একটি গাড়ীতে করে ওই যুবকসহ আরো দুজনকে নিয়ে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে যান। তবে মাহাতাবের এই আয়েশ বা বিলাসিতার চিত্র ধরা পড়ে সিল্কসিটিনিউজের ক্যামেরায়।

একজন রাজনৈতিক ও শ্রমিক নেতার এমন ধৃষ্টতাপূণ আচরণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাওয়া কয়েকজন পথচারি। তারাই সিল্কসিটিনিউজকে বিষয়টি অবহিত করেন।

02

এসময় একজন পথচারি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি বিলাসিতা করলে বাড়িতে বসে করতে পারেন। এভাবে পথের ধারে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে কাউকে দিয়ে প্রকাশ্যে পা টিপে নিবেন-এমন ধৃষ্ঠতা দেখানো তাঁর ঠিক হয়নি। এটি তার নৈতিক স্খলনেরই সামিল।’

অপর একজন পথচারি বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষে এমন কাজ প্রকাশ্যে করা কতটা সোভনীয়-তা ভেবে দেখা উচিত কাউন্সিলর মাহাতাবের। তিনি এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। কিন্তু এভাবে রাস্তা-ঘাটে বসে মানুষকে দিয়ে পা টিপে নিবেন-এটা হতে পারে না।’

তবে পরে বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাবের ফোনে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

স/আর