বুধবার , ১৪ জুন ২০১৭ | ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পাহাড় ধস: চট্টগ্রামে আরও পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার

Paris
জুন ১৪, ২০১৭ ১২:৩১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা থেকে আরও ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দুটি এবং বুধবার সকালে হোসনাবাদ ইউনিয়ন থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের লাশ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ৩০ জন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২৬ জন ও চান্দনাইশের চার জন।

রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামাল হোসেন বুধবার বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানান।

চান্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের শামুকছড়ি ও চনগুনিয়া চারজন নিহত হয়েছেন। ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম এ হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, নিহতদের মধ্যে একজন মুসলিম শিশু রয়েছে। সে শামুকছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে মারা যায়। অপর নিহতরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির, তারা চনগুনিয়া এলাকায় পাহাড় ধসে মারা যান।

রাঙ্গুনিয়ার উপজেলায় পাহাড় ধসে উপজেলার ইসলামপুরে দুটি পরিবারের মোট আট জন, রাজানগরে এক পরিবারের পাঁচজন, হোসনাবাদ ইউনিয়নের একই পরিবারের তিনজনসহ এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

উদ্ধার অভিযান চলছে:

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। রাঙামাটি শহর ও এর আশপাশের এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা পড়ে আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এখনো বিভিন্ন এলাকায় ১০-১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজুরুল মান্নান গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, আজ বুধবার উদ্ধার অভিযান বেগবান করতে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে ৮০ জনের বিশেষ একটি উদ্ধার দলের আসার কথা রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাঈদ তরিকুল হাসান মানিকছড়ির ঘটনাস্থলে থাকা উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানান, প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে সেই মাটি সরাতে কাজ করছিলেন সেনা সদস্যরা। তখন ওপর থেকে পাহাড়ধসে সেনা সদস্যদের ওপর পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে, বান্দরবানে সকাল ৮টা থেকে ফের অভিযান শুরু হয়েছে। এ জেলায় মা-মেয়েসহ বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সেখানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা ভালো। তাই দ্রুত উদ্ধার কাজ শেষ করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

প্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী রাঙামাটিতে ৯৮ জন, চট্টগ্রামে ২৮ জন ও বান্দরবানে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। রাঙামাটিতে নিহতদের মধ্য মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্পের দুই সেনা কর্মকর্তাসহ চার সেনা সদস্যও রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চালানোর সময় পাহাড়ধসের কবলে পড়েন তারা। এ ছাড়া পাহাড়ধসে ১০ সেনা সদস্যসহ আহত হয়েছে শতাধিক। আরেক সেনা সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের নিখোঁজ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

সোমবার রাত ও গতকাল ভোরে পাহাড়ধসের এসব ঘটনা ঘটে। পরে বৃষ্টির মধ্যেই সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। তবে বৃষ্টির কারণে দুর্গম এলাকায় তাত্ক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করা যায়নি। ফলে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়নি। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ধসের মাটি সরানো যায়নি।

বৃষ্টি, ঢল ও পাহাড়ধসের কারণে পার্বত্যাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়ায় চট্টগ্রামের সঙ্গে রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ সোমবার রাতেই বন্ধ হয়ে যায়। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন ও কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়