পাবনায় সাঁথিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতজন করোনায় সংক্রমিত

পাবনা জেলায় নতুন করে আরও আটজনের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলে সাতজন রয়েছেন। অপরজনের বাড়ি ভাঙ্গুড়ায়। তিনি টাঙ্গাইলফেরত বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী। বয়স ৩৩ বছর।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী ল্যাব থেকে দেওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ১৬ এপ্রিল চাটমোহরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই রোগী বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরপর গত এক মাসে জেলার নয় উপজেলার মধ্যে আট উপজেলায় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ দিয়ে জেলায় মোট ২৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।

সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৯ মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্বাস্থ্যকর্মীর (৪০) করোনা শনাক্ত হয়। তিনি নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ফলে তাঁর সংস্পর্শে থাকা হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক (উপসহকারী মেডিকেল অফিসার), তিনজন নার্স ও বাকি তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম জামাল আহম্মেদ জানান, ৯ মে প্রথমজন শনাক্ত হওয়ার পরই হাসপাতাল বন্ধ করে সব কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তবে তাঁদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নেই। এখন সবাই হোম আইসোলেশনে থাকবেন। অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও এস এম জামাল আহম্মেদ বলেন, প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি এখন সুস্থ আছেন। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন থাকবে।

এদিকে ভাঙ্গুড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক হালিমা খাতুন বলেন, উপজেলায় নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি টাঙ্গাইল থেকে ফেরার পরই হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। তাঁর কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেল। শনাক্ত ব্যক্তি শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ নেই। তবু সতর্কতামূলকভাবে তাঁকে নতুন করে হোম আইসোলেশনে নেওয়া হচ্ছে।

প্রথম আলো