পাবনায় মাছ ধরা নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

পাবনার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নে বিলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। আজ রোববার বিকেলে ভাটিকয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, ভাটিকয়া গ্রামের শাকির সরদার (৪০), সেলিম সরদার (৪৩), রাজীব খান (৩০) উজ্জ্বল বিশ্বাস (২৫), জহির বিশ্বাস (৩৫) ও রাকিব মোল্লা (৩০)।

জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহেদী হাসান বলেন, ভর্তি হওয়া ছয়জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি রয়েছে। এসব গুলি বের করা হচ্ছে। তবে সবাই ঝুঁকিমুক্ত। ভর্তি হওয়া ছয়জনের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলি রয়েছে। এসব গুলি বের করা হচ্ছে। তবে সবাই ঝুঁকিমুক্ত।

স্থানীয় লোকজন ও আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাটিকয়া গ্রামটি গাজানার বিলবেস্টিত। বর্ষায় এ বিলে প্রচুর দেশি মাছের আমদানি হয়। বিলটিতে মাছ ধরা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী ও আওয়ামী লীগের নেতা খাইরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল।

আজ দুপুরে খাইরুলের সমর্থকেরা বিলে মাছ ধরতে গেলে শাহাদতের লোকজন তাঁদের একজনকে আটক করে মারধর করেন। কিছুক্ষণ পর খাইরুলের সমর্থকেরা শাহাদতের পক্ষের একজনকে আটক করেছেন বলে খবর ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শাহাদতের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহিন রহমান বাবার লাইসেন্স করা শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়েন। এতে ১৫ জন বিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাইরুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমান সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করেন।

জানতে চাইলে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। গুলি ছোড়ার অভিযোগে লাইসেন্স করা শর্টগানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্র প্রথম আলো