সোমবার , ৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পাঠকশূন্য পুঠিয়ার সাধারণ পাঠাগার: সরকারি অনুদান পেলেও হয়নি কোন উন্নয়ন

Paris
অক্টোবর ৯, ২০১৭ ৬:১৪ অপরাহ্ণ

তারেক মাহমুদ:

সৈয়দ মুজতবা আলী বই পড়া প্রবন্ধে বলেছেন, ‘বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়নি। বই কেনার বাজেট যদি আপনি তিনগুণও বাড়িয়ে দেন, তবুও আপনার দেউলিয়া হবার সম্ভবনা নেই।’ অদিকাল থেকেই তাই মানুষের বইয়ের প্রতি এত কদর, মোহ আর এত ভালোবাসা।

অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায়, অধিককাংশ গ্রন্থাগারগুলোতে সবসময়ই পাঠকের উপচে পড়া ভীড়। একসময় সকল পেশার মানুষ বইয়ের ভুবনে ডুবে থাকতো। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি পড়তো বিভিন্ন বিষয়ের বই। কিন্তু বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে মানুষ যে বই বিমুখ হয়ে যাচ্ছে তার বাস্তব প্রমাণ মেলে পাঠাগারগুলোতে গেলে।

বর্তমানে এখন অধিকাংশ গ্রন্থাগারই থাকে প্রায় পাঠকশূন্য। এর কারণ উল্লেখ করে বই প্রেমীরা বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির কারণে বিশেষ করে ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগের কারণে আর অনলাইন পাঠক থাকায় এখন কিছুটা বই বিমুখ। ঠিক এক চিত্র লক্ষ্য করা যাবে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সাধারণ পাঠাগারে গেলে। পাঠাগারটি ১৯৯২ খ্রি: প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বই প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু বর্তমানে এই পাঠাগারে তার ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও নেই তেমন পাঠক। এমনটাই জানালেন পাঠাগারের কয়েকজন পাঠক যারা এই পাঠাগারটি নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন। ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক কয়েকজন জানান, অতীতে যা বই ছিল এখনও ঐ সব বই-ই রয়েছে। কিছু হারিয়ে গেছে, পাঠাগারের নতুন তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি। এ ছাড়া সরকারিভাবে ১ লক্ষেরও বেশি টাকা অনুদান পাওয়ার পরেও পাঠাগারটি সংস্করণ ও নতুন কোন বই সংগ্রহ করেনি কর্তৃপক্ষ।

হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে পাঠাগারটিতে বইয়ের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার। দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো ও ইত্তেফাক রাখার কথা থাকলেও সেখানে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও স্থানীয় একটি পত্রিকা। যার দৈনিক মূল্য ৭ টাকা। অথচ হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন পত্রিকার বিল বাবদ ২০ টাকা ধার্য রয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, পাঠাগারের উন্নয়নে ২০১২ সালে সরকারি অনুদান মেলে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে পাঠাগরের আয়ের উৎস রয়েছে ৪ টি দোকান ঘরের ভাড়া এবং ব্যাংক হিসেবে বিবরণ স্থিতি অনুয়ায়ী রয়েছে ৬৪ হাজার ৭৮১ টাকা। বৃহৎ অঙ্কের আয়ের উৎস থাকলেত্ত পাঠাগারটি সেই আগের মতই রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার চৌধুরি জানান, মানুষের জ্ঞান বাড়লে সে নিজেকে জানতে পারে। সেই জ্ঞানের ভান্ডার হচ্ছে বই। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি পেপার পত্রিকা ও বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সকল জ্ঞানের ভান্ডার হচ্ছে পাঠাগার। উপজেলা নির্বাহী শিক্ষা অফিস থেকে নির্দেশ এলে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাঠাগারের সকল বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

পুঠিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সাধারণ পাঠাগার পরিদর্শন করে আমি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। আগামী শিক্ষকদের মিটিংএ উপজেলার শিক্ষকদের এই পাঠাগারের বিষয়ে জানানো হবে। পাঠাগারটি নতুনভাবে সাজাতে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স/বি

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর