পাওয়া গেল তিন হাজার চারশ বছরের পুরনো নোঙর!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সকাল বেলা সাঁতার কাটতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে পাওয়া গেল তিন হাজার চারশ বছরের পুরনো নোঙর। গত বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে রাফি বাহালুল নামে এক ইসরায়েলি নাগরিক এই পাথরের নোঙরটি খোঁজে পান।

৫৫ বছর বয়সী রাফি বাহালুল পেশায় পশুচিকিৎসক। তিনি একদিন সকালে ইসারায়েলের হাইফা শহরের ভূমধ্যসাগরের অংশ অটলিটে সাঁতার কাটছিলেন। এসময় তিনি একটি পাথরের নোঙর দেখতে পান। পাথরটিতে খোদাই করা কিছু লেখা রয়েছে বলে জানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, মিশরীয় চিত্রলিপি হায়ারোগ্লিফিক্স লিপিতে লেখা।

রাফি বাহালুল বলেন, আমি সাঁতার কাটছিলাম। হঠাৎ করেই কয়েক মিটার দূরে পানির নিচে এটিকে দেখতে পাই। পরে এটিকে সংগ্রহ করার জন্য ডুব দেই। তারপরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি কী দেখেছি। তিনি জানান, এটি দেখতে অনেকটাই ভূমধ্যসাগরের নিচে একটি মিশরীয় মন্দিরের মতো ছিল।

এই হস্তনির্মিত নোঙরটি গত বছরে উদ্ধার করা হয়। জেরুজালেমে ইসরায়েল মিউজিয়ামে প্রাচীন লেখার একটি প্রদর্শনীতে এটিকে রাখা হয়েছে। মিউজিয়ামটির কিউরেটর শিরলি বেন-ডোর ইভিয়ান বলেন, এই ধরনের নোঙর ব্রোঞ্জ যুগে জাহাজগুলোতে ব্যবহার করা হতো। ওই যুগ শেষ হয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার দু’শ বছর আগে।

এই ধরনের নোঙরে বৃত্তাকার কোণ রয়েছে। সবার উপরে একটি গর্ত রয়েছে যাতে দড়ি বাঁধা হয়। এছাড়াও এই নোঙরে নারী বিকৃত চিত্র রয়েছে। শিরলি বেন-ডোর ইভিয়ান বলেন, তার মাথার উপরে প্রতীক দেখে বুঝা যায় তিনি মিশরীয় দেবী শেশাত। তিনি জানান, হায়ারোগ্লিফিক্স স্টাইলের ওপর ভিত্তি করে তিন হাজার চারশ বছর আগে এটি খোদাই করা হয়েছিল।

এদিকে, বেশিরভাগ শিলালিপি ভালোভাবে সংরক্ষণ করা। কিন্তু মিশরীয় দেবী শেশাতের চেহারা দৃশ্যমানভাবে কাটা হয়েছে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, কেন শেশাতের চেহারাকে বিকৃতভাবে কেটে রাখা হয়েছে। শিরলি বেন-ডোর ইভিয়ান বলেন, নোঙর হিসেবে ব্যবহার করার আগে ওই দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়েই হয়তো এরকমটা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরো একটি সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে, প্রাচীন মিশরে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে দেবীর চেহারাকে বিকৃত করা হয়েছে।