শাহমখদুম এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী ছিলেন মাসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কর্ণধার ছিলেন মাসুদ রানা। মাদক ব্যবসার কারণে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতির পদ থেকে বহি:স্কার হন অনেক আগেই। তবুও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসা থেকে পিছু না সরে তা অব্যাহত রেখেছিলেন মাসুদ রানা। পরিশেষে মঙ্গলবার র‌্যাবের হাতে দুইটি দেশীয় পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেফতার হন এই মাসুদ রানা।

মাসুদ রানা নগরীর পবা নতুন পাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। ভূমি দখল, অস্ত্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়াকসপ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি শাহমখদুম থানার মোড়ে অবস্থান করলেও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলতো তার অপকর্ম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধীক ব্যাক্তিবর্গের সাথে কথা বলে জানা যায়, ত্রাস কায়েম করা যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছিল। তার হাত ধরেই যুবলীগে আগমন ঘটে বেশ কিছু শিবির কর্মীদের। আর তারা সবাই মাসুদ রানার অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এসব কর্মীদের হাতে মাদক ও অস্ত্র দিয়ে সেবা করতেন মাসুদ রানা। ফলে তার অধীনস্ত কর্মীরাও ছিনতাই, মারপিটসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকতো।

গতকাল সোমবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই যুবলীগ কর্মীকে মারধোর করা হয়। আহত অবস্থায় যুবলীগ কর্মী মোমিন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড় নিলেও ভর্তি থাকতে হয় পপেলকে। যুবলীগে পদ না থাকলেও ওয়ার্ড আ’লীগের নেতৃবৃন্দের ছত্রছায়ায় যুবলীগ কর্মীদেরই মারধোর করে মাসুদ রানা। তার অন্যতম সহযোগী ছিলেন সাবেক শিবির কর্মী সবুজ যার বিরুদ্ধে পিকেটিংয়ের মামলা বিদ্যমান রয়েছে।

স্থানীয়দের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক ভূমি দখল, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিলেন এই মাসুদ রানা। মাসুদ রানার দাপটে স্থানীয় কেউই মুখ খুলতে রাজি নয়। তবে তার গ্রেফতারের খবরে স্বস্তি নামে এলাকায়।