আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যস্বত্বভোগী, অযৌক্তিক ও বেআইনি জুলুমের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তার দফতর কক্ষে অনলাইনে গবাদিপশু বেচাকেনা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহন সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় যতটা সম্ভব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে করতে হবে। এ বিষয়টি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে গবাদিপশুর মূল্য নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ দফতরগুলোকে সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে তারা প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহিত করছে। ট্রাকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে রেলওয়ের মাধ্যমেও গবাদিপশু পরিবহন করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দফতরগুলো ট্রেনের রুট ও সিডিউল ঠিক করে দেবে।
পরিবেশ দূষণের আতঙ্ক যেন কোরবানিকে ঘিরে না হয় এবং পশুর চামড়া ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি যাতে না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারদের তাদের আওতাধীন জেলা, উপজেলা, পৌর এলাকা ও গ্রামের হাট-বাজারের বিষয়ে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের উপপরিচালকগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিটি জেলা প্রশাসন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে কোরবানির গবাদিপশু বেচাকেনার উদ্যোগ নিয়েছে বলে স্ব স্ব বিভাগীয় কমিশনাররা সভায় জানান। ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভাগের অন্তত ৩০ শতাংশ গবাদিপশু বেচাকেনা করার প্রচেষ্টা থাকবে বলেও কমিশনাররা সভায় আস্বস্ত করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা সভায় মত দেন।