পলান সরকারের মৃত্যুতে বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন মহলের শোক

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:

একুশে পদকজয়ী বইপ্রেমী পলান সরকারের মৃত্যুতে তাঁর জন্মস্থান নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে বাগাতিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছেন।

শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে শোক প্রকাশ করেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মাসুম, বকুল স্মৃতি থিয়েটারের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হওয়া নূরপুর মালঞ্চি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফরোজ্জামান নিপুন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাইজুল ইসলাম প্রমুখ।

শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘার বাউসা গ্রামে মারা যান পলান সরকার। পরদিন শনিবার সকালে জানাজা শেষে তাঁর প্রিয় পাঠাগারের পাশে তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

উল্লেখ্য, বইপ্রেমী পলান সরকার ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার নূরপুর মালঞ্চি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র পাঁচ মাস বয়সে তাঁর বাবা হায়াত উল্লাহ সরকার মৃত্যুবরণ করেন। এরপর চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া শেষে মায়ের সাথে নানার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামে চলে যান তিনি। পলান সরকারের দাদার নাম ছমির সরকার। শৈশবে বাগাতিপাড়ার নূরপুর মালঞ্চি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। এরপর তাঁর নানা ময়েন উদ্দিন সরকার পলান সরকারকে রাজশাহীর বাঘার উপজেলার বাউসা গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে একটি স্কুলে ভর্তি হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে পলান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি টানেন। কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস থেকে যায় আজীবন। তাঁর প্রকৃত নাম হারেজ উদ্দিন সরকার। তবে জন্মের পর থেকেই মা ‘পলান’ নামে ডাকতেন। অসামান্য শিক্ষা আন্দোলনের কারনে ২০১১ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ‘ইমপ্যাক্ট জার্নালিজম ডে’ উপলক্ষে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার দৈনিকে তাঁর উপর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

স/শা