পরীমনির জামিনের কথা শুনে যা বললেন নানা

মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। দীর্ঘ ২৭ দিন কারাভোগের পর মঙ্গলবার তিনি জামিন পান। নাতনির জামিনের কথা শুনে নানা শামসুল হক তার অনুভূতি জানিয়েছেন।

শামসুল হক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে বসে পরীর মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া। তিনি আমার দোয়া কবুল করেছেন।’

এ সময় তিনি পরীমনি জীবনে চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি করে থাকলে অতীতের সব ভুল শুধরে আগামী দিনগুলোতে সুন্দরভাবে চলবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ (মঙ্গলবার) আদালত থেকে জামিন পেলেও রাতে মুক্তি পাচ্ছেন না পরীমনি। তাকে গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগারের লকআপে রাখা হয়েছে। আগামীকাল জামিনের কপি পেলেই তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে।

গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পর দিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘মদ, আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।

ওই দিনই পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।

সবশেষ গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট আদালতে হাজির করা হলে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত ২২ আগস্ট পরীমনির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

পর দিন আরেক দফা আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিন আবেদনও করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৬ আগস্ট সরাসরি জামিন আদেশ না দিয়ে রুল জারি করেন।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুদিনের মধ্যে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে ২২ আগস্ট পরীমনি জামিন অবেদন করার পর শুনানির জন্য ২১ দিন পরের তারিখ রেখে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আর হাইকোর্টের এ আদেশ বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের আইন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন।

সূত্রঃ যুগান্তর